সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
বহু ঢাকডোল পিটিয়ে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র ঘোষণা করেছিল মোদি সরকার। উদ্দেশ্য ছিল দেশকে উৎপাদন শিল্পে স্বনির্ভর করা। সেই লক্ষ্যে স্টার্ট আপ সহ সব সংস্থাকে উৎসাহিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে সেই উদ্যোগ যে সফল হয়নি বলেই মনে করছেন রাজন। তাঁর মতে, সুযোগের অভাবে তরুণ উদ্যোগপতিরা দেশ ছেড়ে সিঙ্গাপুর বা সিলিকন ভ্যালিতে চলে যাচ্ছেন। এই প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজন। তিনি বলেন, ‘ভারতের যুবকদের মানসিকতা বিরাট কোহলির মতো। তাঁরা বিশ্বাস করেন, আমরা কারও থেকে পিছিয়ে নেই।’ কর্মক্ষেত্রে এই মানসিকতা তারিফ যোগ্য। কিন্তু এসবের সুফল কেন ভারতীয় অর্থনীতি পাচ্ছে না, তার জন্য আত্মসমীক্ষা প্রয়োজন বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ।
মঙ্গলবার আমেরিকার জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মেকিং ইন্ডিয়া অ্যান অ্যাডভান্সড ইকনমি বাই ২০৪৭: হোয়াট উইল ইট টেক’ শীর্ষক আলোচনা চক্রে বক্তব্য রাখেন রাজন। ২০৪৭ সাল নাগাদ ভারত উন্নত অর্থনীতির দেশ হবে বলে দাবি করছে মোদি সরকার। অর্থনীতিবিদ রাজন কিন্তু বলছেন, সেই দাবি পূরণের লক্ষ্যে কোনও কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তাঁর মতে, ‘ভারতের এখন সোনালি সময় চলছে। অথচ আমাদের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের আশেপাশে। এটাই উদ্বেগের। কারণ, চীন বা কোরিয়ার যখন সোনালি সময় চলছিল, তখন সেই দেশগুলির জিডিপি যে হার ছিল, আমাদের বর্তমান হার তার থেকে অনেক কম।’
ভারতের ৬ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে অনেকেই সন্তোষ প্রকাশ করেছে। সেই মতের শরিক নন রঘুরাম। তাঁর সাফ কথা, ‘৬ শতাংশ হারের পক্ষে কথা বলে আমরা বিষয়টিকে জটিল করে ফেলেছি।’ ভারতের সবচেয়ে বড় সমস্যা কাজের অভাব। তার থেকেও বড় সমস্যা কর্মসংস্থান নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি। তাঁর মতে, এমন কিছু বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে, যেগুলি কর্মসংস্থান তৈরির উপযোগী নয়। উদাহরণ হিসেবে ভারতে চিপ উৎপাদনের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। তাঁর মতে, চিপ উৎপাদনে উৎসাহ দিতে কোটি কোটি টাকার ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। অথচ বিপুল কাজের সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও চর্ম শিল্প অবহেলার শিকার।