সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
গত বৃহস্পতিবার মানালিতে বিতর্কিত বক্তৃতা দিয়েছিলেন কঙ্গনা। সেই ভাষণ হামিরপুরে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের আয়োজিত সমাবেশকে ম্লান করে দিয়েছে দাবি করেছেন বিক্রমাদিত্য। ওই সমাবেশ থেকেই রাজ্যের ভোটের প্রচার শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হিমাচলের ‘রাজাসাহেব’ প্রয়াত বীরভদ্র সিংয়ের পুত্র বলেন, ‘লাগাতার বিতর্কিত মন্তব্যের মাধ্যমে বিজেপির রাজ্য নেতাদের জন্য বড় বিপদ হয়ে উঠেছেন কঙ্গনা।’ মানালির বক্তৃতায় বলিউডে পরিবারতন্ত্র থেকে শুরু করে মহারাষ্ট্রে উদ্ধব থ্যাকারের ‘বংশানুক্রমিক রাজনীতি’ নিয়েও চাঁচাছোলা আক্রমণ করেছিলেন কঙ্গনা। শুধু তাই নয়, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে ‘বড় পাপ্পু’ এবং বিক্রমাদিত্যকে ‘ছোট পাপ্পু’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। এদিন সেই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়েই মাণ্ডির কংগ্রেস প্রার্থীর দাবি, এইধরনের বিতর্কিত মন্তব্য করে রাজ্যে দলের শীর্ষ নেতাদের থেকে কঙ্গনা প্রচারের আলো কেড়ে নিতে সক্ষম হলেও তাতে ভোটের বাক্সে কোনও প্রভাব পড়বে না। তাঁর ‘সেলেব’ পরিচিতও কোনও কাজে লাগবে না। এরপর নিজের কাজ সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিক্রমাদিত্য বলেন, রাজ্যের মন্ত্রী হিসেবে পূর্ত দপ্তরের জন্য কেন্দ্রের কাছ থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা আদায় করে এনেছেন তিনি। বলেন, ‘উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ট্র্যাক রেকর্ডই আমার পুঁজি। কিন্তু, হিমাচলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় কঙ্গনা কোথায় ছিলেন, মাণ্ডির মানুষের জন্য কী করেছেন, সেই জবাব তাঁকে দিতে হবে।
কঙ্গনাই প্রথম বলিউড সেলেব্রিটি হিসেবে হিমাচলের ভোটের আসরে ঝাঁপিয়েছেন। মাণ্ডি আসনে তাঁকে এবার টিকিট দিয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে, এই আসনে কংগ্রেস এবার প্রার্থী করেছেন রাজ্যের ছয় বারের মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত বীরভদ্র সিংয়ের পুত্র বিক্রমাদিত্যকে। তাঁর মা প্রতিভা সিং এই আসনের বিদায়ী সাংসদ এবং প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি। বিক্রমাদিত্য নিজেও সিমলা (গ্রামীণ) বিধানসভার দু’বারের বিধায়ক। বর্তমানে তিনি হিমাচলের পূর্তমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।