সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
২০১৪ সালে রাজনন্দগাঁও আসনে বিজেপি প্রার্থী পেয়েছিলেন ৬ লক্ষ ৪৩ হাজারের বেশি ভোট। কংগ্রেস প্রার্থীর সঙ্গে ব্যবধান ছিল ২ লক্ষ ৩৫ হাজারের বেশি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে সেই ব্যবধান এক ধাক্কায় কমে দাঁড়ায় ১ লক্ষ ১২ হাজারে। বিএসপি প্রতিবার প্রার্থী দিলেও তেমন ছাপ ফেলতে পারেনি। পান্ডারিয়া, কাওয়ার্ধা, খাইরাগড়, ডোঙ্গারগড়, রাজনন্দগাঁও, ডোঙ্গারগাঁও, খুজ্জি ও মহলা-মানপুর—এই আটটি বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে রাজনন্দগাঁও লোকসভা আসন। কংগ্রেসের কাছে আশার আলো যে, বিধানসভা নির্বাচনে এর মধ্যে পাঁচটিই দখল করেছিল তারা। পান্ডারিয়া, কাওয়ার্ধা ও রাজনন্দগাঁও দখল করে বিজেপি। তবে শতাংশের হিসেবে কংগ্রেস (৪৫.১ শতাংশ)-এর থেকে বেশি ভোট পেয়েছিল বিজেপি (৪৭.১ শতাংশ)। রাজনন্দগাঁওয়ের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮৪ শতাংশেরই বাস গ্রামীণ এলাকায়। ভোটারদের মধ্যে বড় অংশ ওবিসি সম্প্রদায়ভূক্ত। এছাড়া রয়েছে আদিবাসী ভোট। তবে ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে জাতপাতের রাজনীতি সেভাবে এই আসনে প্রভাব ফেলেনি। ১৯৯৯ সালে এই আসনে জিতেছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির রামন সিং, তিনি ছিলেন রাজপুত। ২০০৪ সালে জিতেছিলেন ‘উঁচু জাতির’ নেতা প্রদীপ গান্ধী। ২০০৯ সালে জয়ী মধুসূদন যাদব ওবিসি সম্প্রদায়ভূক্ত হলেও বর্তমান সাংসদ সন্তোষ পান্ডে আবার ব্রাহ্মণ।
বিধানসভা নির্বাচনের মতই বাঘেলের বিরুদ্ধে ফের একবার বেটিং কেলেঙ্কারি সহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগকে সামনে রেখেই প্রচার করছে বিজেপি। বাঘেলের হাতিয়ার ‘ভূমিপুত্র’ ও ‘কৃষক-দরদী’ ইমেজ। কেন্দ্রের কৃষিনীতি নিয়ে কৃষকদের একাংশের ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে। ফলে নিজের আমলে কৃষকদের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ও খণমকুব নীতি সহ কী কী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, সেই বিষয়টি নিজের প্রচারে তুলে ধরতে চাইছেন বাঘেল।