গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
বারাসত পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বরিশাল কলোনির বাসিন্দা সৌম্যদীপ। বাবা ভোলানাথ সাহা পেশায় একজন ব্যবসায়ী। মা ডালিয়া সাহা গৃহবধূ। পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বারাসত গভর্নমেন্ট হাইস্কুলের ছাত্র ছিলেন তিনি। মাধ্যমিক পরীক্ষায় পেয়েছিলেন ৬৭৩। তাঁর লক্ষ্য ছিল মাধ্যমিকে রাজ্যে র্যাঙ্ক করা। অল্পের জন্য তা অধরা থেকে যায়। র্যঙ্ক করতে না পেরে বাবা-মায়ের কাছে প্রতিজ্ঞা করে সৌম্য বলেছিলেন, ‘আমি নিজের লক্ষ্যে পৌঁছবই। উচ্চ মাধ্যমিকে আমি র্যাঙ্ক করে দেখাব।’ মাধ্যমিকের পর সৌম্যদীপ ভর্তি হন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে। সেখানে হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করেন তিনি।
মেধা তালিকায় স্থান পাওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী থাকলেও এদিন ফল প্রকাশের পর সৌম্যদীপ যেন নিজেকেও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। কারণ, একেবারে রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয় হয়ে যাবেন বলেও ভাবেননি তিনি। কথায় কথায় কৃতী বললেন, ‘আমার প্রাণের কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁর জন্মদিনেই আমার জন্য এত ভালো খবর এল, যা আমার প্রত্যাশা ছাপিয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় হব ভাবিনি।’ নিয়মিত সাঁতার, জিম ও খেলাধুলো করতে অভ্যস্ত সৌম্যদীপ আগামীর পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘পড়াশোনাকে চাপ নয়, ভালোবেসে গ্রহণ করতে হবে। তাহলে সাফল্য আসতে বাধ্য।’ তাঁর মা ডালিয়া সাহা বলেন, ‘ছেলের জেদ ছিল মাধ্যমিকে অধরা স্বপ্নকে এবার ছোঁয়ার জন্য। কঠোর পরিশ্রমের ফল পেল উচ্চ-মাধ্যমিকে।’
বাবা ভোলানাথ সাহা বলেন, ‘ছেলে প্রথম থেকেই পড়াশোনায় ভালো। ভেবেছিলাম মাধ্যমিকে র্যাঙ্ক করবে। সেবার তা না হলেও পড়াশোনার প্রতি ওর জেদ যেন আরও বেড়ে গিয়েছিল তারপর। প্রতি সপ্তাহে ওর হস্টেলে গিয়ে আমরা দেখা করে আসতাম। আগামী দিনে ওর সমস্ত ইচ্ছেই পূরণ হোক, অভিভাবক হিসেবে আমরা এটাই চাইব।’