বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
বিজেপির স্বস্তি ছিল না বালুরঘাট ও রায়গঞ্জেও। বালুরঘাট আসনে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার নিজেই দলীয় প্রার্থী। ভোটের দিন নিজের কেন্দ্রে ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান শুনে মেজাজ হারান সুকান্তবাবু। দেহরক্ষীদের নিয়ে তেড়ে যান তিনি। রাজ্য পুলিসের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে তাদের ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকিও দিয়েছেন সুকান্তবাবু। বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তপনে এক অসুস্থ ভোটারকে টোটোয় চাপিয়ে বুথে নিয়ে আসার পথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ান বেধড়ক লাঠিপেটা করে এক তৃণমূল কর্মীকে। আবার ইটাহারের দুর্গাপুরের একটি বুথে আদিবাসীদের ভয় দেখিয়ে পদ্মফুলের বোতাম টেপার জন্য প্ররোচিত করার অভিযোগ উঠেছে বাহিনীর বিরুদ্ধে। নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ জানানো হলে, তারা খতিয়ে দেখে দু’টি জায়গা থেকেই অভিযুক্ত জওয়ানদের সরিয়ে নেয়। রায়গঞ্জের কয়েকটি বুথে ইভিএম বিভ্রাটের খবর মেলে। পরে কমিশনের তরফে তা পাল্টে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় দফার এই ভোটে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তিনটি কেন্দ্রে গড়ে ৭১.৮৪ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭২.৩০ শতাংশ ভোট পড়েছে বালুরঘাট কেন্দ্রে। এই সময় পর্যন্ত এই তিন কেন্দ্রে গড়ে যে পরিমাণ ভোট পড়েছে, তা গত বিধানসভার তুলনায় সাত থেকে আট শতাংশ কম। কমিশন মনে করছে, তীব্র তাপপ্রবাহই এর কারণ।
অপরদিকে, প্রথম দফার মতো এদিনের জনমত তাঁদের অনুকূলে থাকবে বলে দাবি করেছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘দ্বিতীয় দফার ভোট দেখে বিজেপি ভয় পেয়েছে। অর্থ আর পেশিশক্তি দিয়ে ভোট ভণ্ডুল করার চেষ্টা করছে। বিজেপির পতন এবার কেউ আটকাতে পারবে না।’ রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও বলেছেন, ‘এবার ইন্দ্রপতন হবে। নিশ্চিতভাবে হারছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি।’ যদিও গড় রক্ষার প্রত্যয়ী বার্তা ছিল সুকান্তবাবুর।