বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
মূলত, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর পরিস্রুত পানীয় জলের সরবরাহ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। সেক্ষেত্রে এই ভ্রাম্যমাণ মেশিন পাঠিয়ে পানীয় জলের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা হয়। এই মেশিনে প্রতিঘণ্টায় তিন থেকে চার হাজার জলের পাউচ তৈরি হয়। সেগুলি বিতরণ করা হয় সাধারণ মানুষের মধ্যে। এই একই পদ্ধতিতে যে-সমস্ত এলাকায় বড় মিটিং বা জনসভা থাকছে। যেখানে মূলত ভিভিআইপিরা বক্তৃতা দিচ্ছেন, সেই সমস্ত এলাকায় এই মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে।
কেন এই পদক্ষেপ? রাজ্যের এক আধিকারিক জানান, ভিভিআইপি তালিকাভুক্ত নেতা-নেত্রীদের এক-একটি সভায় কমপক্ষে ৫০-৮০ হাজার মানুষের জমায়েত হয়। তাঁদের মধ্যে থাকেন মহিলা এবং বয়স্করাও। সকলে জলের বোতল সঙ্গে আনেন না। স্বাভাবিকভাবেই কিছুক্ষণ থাকার পরেই জলের খোঁজ পড়ে। আমাদের ধারণা রয়েছে, যেখানেই যাই সেখানে কিছু পাই না আর পাই, একটু জল ঠিক পাব। আর এই প্রত্যাশা থেকেই মানুষের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হতে পারে। তা থেকে হতে পারে আইনশৃঙ্খলারও অবনতি।
আর জেড প্লাস সিকিউরিটি নেওয়া জনপ্রতিনিধিদের সভায় নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলার দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। নিরাপত্তার কারণেই, রাজনৈতিক সভা হওয়া সত্ত্বেও অনেক ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনকেই পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে হয়। একাধিক জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, এই সমস্ত ক্ষেত্রে রাজ্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি (পিএইচই) দপ্তরের ভ্রাম্যমাণ পাউচ ওয়াটার ভেন্ডিং মেশিনই একমাত্র ভরসা। প্রতিটি জেলায় এই গাড়ি রয়েছে দু-তিনটি করে। সেইসব গাড়িকে কাজে লাগিয়েই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হচ্ছে।