সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে এনআইএ জেনেছে, ধৃত তিনজন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে অত্যন্ত দক্ষ। আব্দুল যেকোনও ধরনের আইইডি তৈরিতে পারদর্শী। সিরিয়ায় আইএসের বিস্ফোরক-বিশেষজ্ঞ তাকে উন্নতমানের আইইডি তৈরি শেখায় অনলাইনে। আইইডি বানিয়ে সে বিভিন্ন জায়গায় পরীক্ষা করত। মতিনকে জেরা করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, আইইডি তৈরির জন্য নতুন নতুন ল্যাব খোলার দায়িত্ব তাকে দেওয়া হয়েছিল। এজন্য কয়েকটি রাজ্যে জায়গাও দেখেছিল আব্দুল। তদন্তকারীদের সে জানিয়েছে, আইইডি বানাতে যেসব কাঁচামাল লাগে সেগুলি অনলাইনে পাওয়া যায়। এগুলি কেনার দায়িত্ব ছিল মোজাম্মেলের উপর। এজন্য ক্রিপ্টো কারেন্সিতে তার কাছে টাকা পাঠানো হতো বিদেশ থেকে।
অনলাইন ডেলিভারি সংস্থার কর্মীরা মোজাম্মেলের কাছে এগুলি পৌঁছে দিত। তারপর তার হাত ঘুরে যেত আব্দুলের কাছে। মোজম্মেল জেরায় এনআইএ’কে জানিয়েছে, বিভিন্ন ধরনের রায়াসনিক তৈরির একাধিক কারখানার সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। এমনকী, বিদেশে রাসায়নিক ব্যবসায় জড়িত লোকজনের সঙ্গেও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে তার কথা হতো। তাই কারখানা থেকে সরাসরি মাল পৌঁছে যেত তার কাছে। সমস্ত মালই তার কাছে আসত ক্যুরিয়ারে। তবে রাসায়নিক না দেখিয়ে অন্য আইটেম দেখিয়েই তা বুক করা হতো, যাতে পুলিসের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকতে পারে পুরো ষড়যন্ত্রটাই।
ঝাড়খণ্ডের একাধিক রাসয়নিক কারখানার সঙ্গে মোজাম্মেলের যোগের প্রমাণ মিলেছে বলে এনআইএ সূত্রের খবর। বিস্ফোরক তৈরির কাঁচামাল তার হাত ঘুরেই যেত আব্দুলের কাছে। বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণেও একইভাবে কাঁচামাল সংগ্রহ করেছিল মোজাম্মেল। ধৃতরা জেরায় জানিয়েছে, পুলিস বা এজেন্সি যাতে তাদের ফোনে আড়ি পাততে না-পারে সেজন্য বিশেষ ধরনের সফটওয়্যার তৈরি করেছিল তারাই। সেটি পাঠানো হয়েছিল মডিউলের অন্য সদস্যদের কাছেও।