সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
২০১৯ সালে রাজ্যে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৭ কোটি ১ হাজার ২৮৪। এবার তা বেড়ে হয়েছে ৭ কোটি ৫৯ লক্ষ ২৫ হাজার ৫৭১ জন। শতাংশের বিচারে বৃদ্ধির হার ৮.৪। এই সামগ্রিক বৃদ্ধির হারে পুরুষদের পিছনে ফেলে ৯.৬ শতাংশ হারে মহিলা ভোটার বৃদ্ধি পেয়েছে রাজ্যে। সেখানে পুরুষ ভোটারের বৃদ্ধির হার ৭.২ শতাংশ। ২০১৯ সালে রাজ্যে মাত্র একটি কেন্দ্র, দমদমে পুরুষ ভোটারের তুলনায় মহিলা ভোটারের সংখ্যা বেশি ছিল। এবার আরও দু’টি কেন্দ্র—যাদবপুর এবং হুগলিতে পুরুষদের ছাপিয়ে গিয়েছেন মহিলা ভোটাররা। যাদবপুর ও হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে রীতিমতো পুরুষ ভোটারদের টক্কর দিয়ে হারিয়ে দিয়েছেন মহিলা ভোটাররা।
শুধু এই তিন কেন্দ্রই নয়। আরও অন্তত দশটি কেন্দ্রে মহিলা ভোটার এবং পুরুষ ভোটারের কমবেশি পার্থক্য ১ শতাংশেরও কম। যেমন জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রে ৩৯১ জন বেশি পুরুষ ভোটার রয়েছেন। শতাংশের বিচারে মাত্র ০.০২। অথচ ২০১৯ সালে এই কেন্দ্রে ১৭ হাজার ২৪৭ জন বেশি পুরুষ ভোটার ছিলেন। এছাড়াও দার্জিলিংয়ে এবার মহিলা-পুরুষ ভোটারের পার্থক্য মাত্র ২ হাজার ২৮৯, অর্থাৎ ০.১২ শতাংশ। এরপর তফশিলি উপজাতিভুক্ত আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রের পরিসংখ্যান বলছে, এবার এই কেন্দ্রে পুরুষ ও মহিলা ভোটারের পার্থক্য ৪ হাজার ৮৪৮, অর্থাৎ মাত্র ০.২৭ শতাংশে নেমে গিয়েছে।
এছাড়াও মালদহ দক্ষিণ, বারাসত, শ্রীরামপুর, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বর্ধমান-দুর্গাপুর এবং বীরভূম ছাড়াও একাধিক কেন্দ্রে মহিলা ও পুরুষ ভোটারের পার্থক্য ২০ হাজার বা তার নীচে। সমাজ বিজ্ঞানী এবং রাজনীতিবিদদের একাংশের ধারণা, পশ্চিমবঙ্গে কন্যাশ্রী এবং লক্ষীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্পই মহিলাদের ভোট আগ্রহ বাড়িয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এক কর্তার কথায়, ‘২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গে ভোটার অনুপাত ছিল ৯৪৯। এবার তা বেড়ে হয়েছে ৯৬৮। সম্ভবত গোটা দেশে পশ্চিমবঙ্গের এই বৃদ্ধি সর্বাধিক।’