সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
কী আছে সেই সমীক্ষায়? খুব সোজাসাপ্টাভাবে তাতে দেখানো হয়েছে, মোদি সরকারকে তৃতীয়বার ক্ষমতায় নিয়ে আসার পক্ষে এখনও সিংহভাগ দেশবাসী। ৪৪ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন মোদি ফিরবেন, আর ৩৯ শতাংশ নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন। রাজনৈতিক মহলের অভিমত, এই সমীক্ষা রিপোর্টে মূল্যবৃদ্ধি-বেকারত্ব নিয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করা হয়েছে প্রাথমিকভাবে। কিন্তু রিপোর্টের পরিসংখ্যান কাঁটাছেড়া করতে গিয়ে উঠে এসেছে আসল চিত্র। দেখা যাচ্ছে, মোদির জনপ্রিয়তায় বিগত পাঁচ বছরের তুলনায় যথেষ্ট ভাটা পড়েছে। কীরকম? ২০১৯ সালে মোদির ফেরায় সায় দিয়েছিল দেশের ৪৭ শতাংশ জনতা। ২০২৪ সালে সেই সংখ্যা ৪৪ শতাংশ। অর্থাৎ, ৩ শতাংশ মানুষের ‘মন’ উঠে গিয়েছে মোদি সরকারের থেকে। ‘মুদ্রা’র উল্টো পিঠও রয়েছে। মোদি কি ফিরবেন? ২০১৯ সালে এই সমীক্ষায় নেতিবাচক উত্তর দিয়েছিলেন ৩৪ শতাংশ। এবার সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ শতাংশ। অর্থাৎ, দেশের ৩৯ শতাংশ মানুষ মনে করছেন এবার আর মোদি ফিরবেন না। আর এই দুই পরিসংখ্যানে লুকিয়ে রয়েছে আরও একটি সূক্ষ্ম তথ্য, যা রীতিমতো উদ্বেগজনক পদ্মপার্টির কাছে। কারণ, মোদি সরকারের ‘পক্ষে’ থাকা এই সমীক্ষা রিপোর্টে মোদি সরকারের পক্ষে এবং বিপক্ষের শতকরা হারের মধ্যে দূরত্ব উল্লেখযোগ্যভাবে কমছে। ২০১৯ সালে যে পার্থক্য ছিল ১৩ শতাংশ, ২০২৪ সালে তা কমে হয়েছে মাত্র ৫ শতাংশ। অর্থাৎ, অশনি সঙ্কেতের নিঃশ্বাস পড়ছে একেবারে ঘাড়ের কাছে।
উদ্বেগের শেষ এখানেই নয়। কারণ, ভোটারদের একাংশ মুখে কুলুপ এঁটেছেন সমীক্ষায়। ১৭ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তাঁরা এই নিয়ে কোনও মতামত দেবেন না। অর্থাৎ ‘নো কমেন্টস’। ভোট সমীক্ষার পরিভাষায় এঁদের বলা হয় সাইলেন্ট ভোটার অথবা ফেন্স সিটার। কার্যত তাঁদের ভোটই জয়-পরাজয়ের নির্ণায়ক হয়ে যায় অনেকটা। যা বিজেপির জন্য যথেষ্ট চিন্তার। নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ জুটি এবং বিজেপি ভোট-প্রচারে বারংবার বলেছে, ভোটপ্রাপ্তিতে এবার তারা ৫০ শতাংশ পেরিয়ে যাবে। কিন্তু সেটা যে সম্ভব হচ্ছে না, তার পূর্বাভাস মিলেছে একের পর এক জনমত সমীক্ষায়। আর দ্বিতীয় উদ্বেগ হল, ওই ৫ শতাংশের পার্থক্য যদি সামান্য এদিক-ওদিক হয়ে যায়, তাহলে আসন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বড়সড় ফারাক হয়ে যায়। তখন ‘আব কী বার চারশো পার’ তো দূর অস্ত, প্রশ্ন উঠবে গরিষ্ঠতা নিয়েই।