সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
২০১১ সাল থেকে রাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। প্রথম থেকেই উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য একের পর এক উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ করেছেন মমতা। সেই কারণে প্রতিবার উত্তরবঙ্গে এলে সাধারণ মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা ও সমর্থন পান তিনি। কিন্তু এদিন তিনি কিছুটা খেদ প্রকাশ করে বলেন, ‘ভোটের বেলায় বিজেপি কেন? বিপদে-আপদে আমরা। আর হঠাৎ করে ওরা আসবে, আপনারা ভোট দিয়ে দেবেন! বাংলাকে যারা টাকা দেবে না, সব ব্যাপারে বঞ্চিত করবে, মা-বোনেরা এবারও কি ওদের ভোট দেবেন?’ সঙ্গে সঙ্গে শোনা যায় জনতার গর্জন। হাজারো কণ্ঠে সম্মিলিত জবাব আসে, ‘না...’। জমায়েতের এই আবেগ বুঝে নিয়ে মমতা হুঙ্কার দেন, ‘দিল্লির ভোট পাখিরা নির্বাচনের সময় এসে নাটক করে, যাত্রা করে। ভোটের সময় ওরা ধর্মে ধর্মে ভেদাভেদ করে। আমি কি হিন্দু নই? আমি কি কালীপুজো করি না? মনে রাখবেন, কেন্দ্রে ইন্ডিয়া জোটের সরকার হবে। আমরাই অগ্রণী ভূমিকা নেব। কিন্তু এখানে তৃণমূল ছাড়া অন্য কাউকে একটা ভোটও দেবেন না। কারণ, এখানে বিজেপিকে মদত দিতে কাজ করছে সিপিএম আর কংগ্রেস। পঞ্চায়েত ভোটেও তাই দেখা গিয়েছে। কেন্দ্রে বদল চাইলে এখানে তৃণমূলকেই জেতাবেন।’
‘মোদি কা গ্যারান্টি’ নিয়ে মমতা কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘উনি বলেছিলেন প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেবেন। একটি টাকাও তো দেননি। আসলে মোদির গ্যারান্টি হল জুমলার গ্যারান্টি। টাকা নাকি ঝুড়িতে করে আনছিল, রাস্তায় পড়ে গিয়েছে।’ গুজরাত-উত্তরপ্রদেশের মতো বাংলায়ও মোদি-শাহ ভাষা সন্ত্রাসের ‘কালচার’ তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে তোপ দাগেন নেত্রী। বলেন, ‘২০১১-তে আমাদের স্লোগান ছিল বদলা নয়, বদল চাই। আর প্রধানমন্ত্রী বলছেন ৪ তারিখের পর সবাইকে জেলে ঢোকাবেন। অমিত শাহ বলছেন লটকা দেঙ্গে। আমিও ছাড়ার লোক নই। আমিও বলে রাখছি, এই নির্বাচনে ওদের আমি ঝটকা দুঙ্গি। ’ তাঁর দলের কেউ এরকম কথা বললে দল থেকে তাড়িয়ে দেবেন বলেও জানান মমতা। সেই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘যারা সবাইকে লটকে দেওয়ার কথা বলে, তারা হচ্ছে স্বৈরাচারী, ব্যাভিচারী, ভ্রষ্টাচারীর দল। সবাই আওয়াজ তুলুন, ঘর ঘর মে শোর হ্যায়, বিজেপি চোর হ্যায়।’ চালসায় তাঁর কনভয় লক্ষ্য করে ‘চোর’ স্লোগানের নিন্দা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সব থেকে বড় চোর ডাকাতদের মাফিয়া রাজ চালাচ্ছে বিজেপি।’ টানা তিন মাসের ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সমালোচনাও শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে। সব ভোট মিলিয়ে এক বছরের বেশি সময় চলে গেলে কাজ হবে কখন? প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি।