সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
এনআইএ সূত্রের খবর, ৯ তারিখ হায়দরাবাদ থেকে ট্রেনে ধরে হাওড়া পৌঁছয় অভিযুক্তরা। কলকাতায় কোন কোন এলাকায় গেস্ট হাউস রয়েছে, সেই তথ্য তাদের কাছে আগে থেকেই ছিল। ১০ মার্চ হাওড়ায় ট্যাক্সিতে উঠে তারা ধর্মতলায় একটি গেস্ট হাউসে পৌঁছে দিতে বলে চালককে। চালক তাদের লেনিন সরণির নিকটবর্তী একটি অতিথিশালায় নিয়ে যান। সেখানে তারা জানায়, চেন্নাই থেকে এসেছে, শিলিগুড়িতে যাবে। সাড়ে পাঁচশো টাকার ঘার ভাড়া নেয় তারা। জমা দেওয়া আধার কার্ডে তহ্বার নাম ছিল—ভিগ্নেশ ডি। আর সাজিবের নাম ছিল—ইউসা শাহনাজ প্যাটেল। তামিলনাডুর দুই ব্যক্তির আধার নম্বর ছিল সেখানে। তাদের ছবির পরিবর্তে লাগানো ছিল এই দুই অভিযুক্তের ছবি। ধর্মতলা এলাকার অন্য একটি গেস্ট হাউসে দু’রাত কাটায় তারা। এস এন ব্যানার্জি রোডে একটি গেস্ট হাউসে এসে ওঠে তারা ১২ তারিখ। সেখানে জানায়, চেন্নাই যাবে। পরদিন বেরিয়ে দুপুরে লেনিন সরণিতে অন্য একটি গেস্ট হাউসে গিয়ে ওঠে তারা। সেখানে উল্লেখ ছিল, তাদের গন্তব্য দার্জিলিং। এই গেস্ট হাউসে তহ্বা যে আধার কার্ড জমা দেয় তাতে তার নাম ছিল—আনমোল কুলকার্নি। কিন্তু কোথাও এক বা দু’দিনের বেশি থাকেনি তারা। ধর্মতলা এলাকা ছাড়ার পর তারা ঠেলে ওঠে বন্দর এলাকায়। অটো বুক করে খিদিরপুরের একটি গেস্ট হাউসে গিয়ে ওঠে ২১ তারিখ। পরদিন বেরোনোর সময় সেখানকার রেজিস্টার ছিঁড়ে নিয়ে যায় তারা। আরও কয়েকটি গেস্ট হাউসে তারা ছিল। এনআইএ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ২৫-২৮ মার্চ পর্যন্ত তারা একবালপুরের একটি গেস্ট হাউসে ছিল। সমস্ত জায়গায় তারা বিল মেটায় নগদে। দিল্লি থেকে এনআইএ টিম আসতে পারে আঁচ করে ২৮ তারিখ সকালে হাওড়া স্টেশনে চলে যায় তারা। সেখান থেকে বাস ধরে প্রথমে নামে কাঁথিতে। সেখানে কয়েকটি হোটেলে কাটিয়ে শেষমেশ আশ্রয় নিয়েছিল তারা নিউ দীঘার একটি হোটেলে। তারা ধরা পড়ে সেখান থেকেই।
এনআইএ সূত্রের খবর, তামিলনাডুর দুই ব্যক্তির আধার নম্বর ব্যবহার করছিল তারা। ওই নম্বর তদন্তকারীদের হাতে যায়। কলকাতায় এসে তারা ঘণ্টায় ঘণ্টায় সিম বদল করছিল। বেঙ্গালুরু ও চেন্নাই থেকে প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সিম নিয়ে এসেছিল। কলকাতা থেকে অনেকগুলি সিম কেনে তারা। এর সূত্র ধরে তদন্তকারীরা কলকাতার বিভিন্ন হোটেল চিহ্নিত করেন। সংশ্লিষ্ট হোটেলগুলিতে পৌঁছে, ৫ এপ্রিল থেকে অভিযুক্তদের ছবি দেখানো হয়। চেক করা হয় সিসিটিভি ফুটেজ। তা দেখেই তাঁরা নিশ্চিত হন যে অভিযুক্তরা সেখানে থেকে গিয়েছে। তদন্তকারীদের হস্তগত আধার নম্বরের সঙ্গে জমা পড়া আধার নম্বর মিলে যায়! সেখান থেকেই তাঁরা বুঝতে পারেন, নাম ভাঁড়িয়ে সেখানে ছিল অভিযুক্তরা।