নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্য সরকারের সচিবালয়ে বিভিন্ন স্তরে প্রচুর নতুন পদ সৃষ্টির সুফল পেতে শুরু করেছেন সরকারি কর্মীরা। বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মীদের পদোন্নতির সুযোগ বেড়ে গিয়েছে। ভোট ঘোষণার আগেই আপার ডিভিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট (ইউডিএ), সেকশন অফিসার (এসও) প্রভৃতি পদে অনেক কর্মীই উন্নীত হয়েছেন। পরবর্তী পর্যায়ে পদোন্নতির জন্য হেড অ্যাসিস্ট্যান্ট (এইচএ), ইউডিএ, লোয়ার ডিভিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট (এলডিএ) প্রভৃতি পদের কর্মীদের গ্রেডেশন লিস্ট তৈরি করে রেখেছে কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দপ্তর। সচিবালয়ের একজন কর্মী এলডিএ পদে যোগ দিয়ে এতদিন যুগ্মসচিব পর্যন্ত পদে উন্নীত হতে পারতেন। এখন রাজ্য সরকার অতিরিক্ত সচিব পর্যন্ত পদে তাঁদের পদোন্নতির সুযোগ দিয়েছে। সাধারণ কর্মীদের জন্য অতিরিক্ত সচিবের ১০টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। তাছাড়া যুগ্মসচিব, উপসচিব, সহসচিব, ওএসডি/রেজিস্ট্রার, এসও প্রভৃতি নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। যুগ্মসচিবের ১০টি, উপসচিবের ৩৬টি, সহসচিবের ৩৮টি, ওএসডি’র ৯২টি এবং এসও’র ১৩০টি অতিরিক্ত পদ সৃষ্টি করেছে নবান্ন। তার ফলে এলডিএ পর্যায় থেকে কর্মীদের পদোন্নতির সুযোগ বেড়ে গিয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে একদফায় ৭৪৩ জন এলডিএ থেকে ইউডিএ পদে উন্নীত হয়েছেন। একসঙ্গে ৩১ জন এইচএ ওইসময় সেকশন অফিসার হিসেবে পদোন্নতি পান।
কিন্তু রাজ্য সরকারের ডিরেক্টরেট ও আঞ্চলিক পর্যায়ের অফিসগুলিতে কর্মীদের পদোন্নতির সুযোগ এখনও খুবই কম। পিএসসি’র পরীক্ষা দিয়ে সবাই এলডিএ’র চাকরিতে যোগ দিলেও সচিবালয়ের কর্মীরা পদোন্নতির ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে থাকেন। যদিও মোট সরকারি কর্মীদের মধ্যে ডিরেক্টরেট ও আঞ্চলিক অফিসের কর্মীদের সংখ্যা ৯৫ শতাংশের বেশি। সব স্তরের সরকারি কর্মীদের পদোন্নতিসহ বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখে নির্দিষ্ট সুপারিশ করার জন্য, একবছর আগে মন্ত্রী ও অফিসারদের নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গড়া হয়। কিন্তু সেই কমিটির কোনও সুপারিশ এখনও জমা পড়েনি। চলতি ভোটের পরই কমিটির সুপারিশ জমা পড়বে বলে আশায় আছে কর্মী মহল।