গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
বুধবার বলাগড়ের কুলিয়াপাড়ার মাঠে ছিল তৃণমূলের নির্বাচনী জনসভা। বেলা ৩টের মধ্যেই তিলধারনের জায়গা ছিল না সেখানে। ছাউনি ঘেরা এলাকার আশপাশেও ছিল থোকা থোকা ভিড়। মাঠে যাওয়ার রাস্তার ধারে উৎসাহী জনতার সমাবেশ। নির্ধারিত সময়ের অনেকটা পরেই আসেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তখন বারে বারে আকাশের দিকে চাইছিলেন উৎসুক জনতা। উদ্দেশ্য একটাই, ‘দিদি’র কপ্টারের খোঁজ নেওয়া। যখন আকাশে কপ্টারের দেখা মিলল, তখনই ‘দিদি’, ‘দিদি’ গর্জনে মুখরিত হয়ে উঠল মাঠ। সভায় এসেই উন্নয়নের খতিয়ান পেশ করতে শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায় উঠে এসেছে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি বাংলার জন্য কী কী কাজ করেছেন, তার খতিয়ান। হুগলিকে বীরভূমের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে উত্তরবঙ্গে যাওয়ার বিকল্প রাস্তার পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার। এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, হুগলির ইতিহাস ও ঐতিহ্য আছে। সেই মাটির সম্মান রাখতে হবে। আমরা মানুষের পাশে, উন্নয়নের কাজে থাকি। তাঁর কথায় এসেছে বলাগড়ের সবুজদ্বীপ, সিঙ্গুরের কৃষিনির্ভর শিল্প, মন্দির-মসজিদের উন্নয়ন প্রকল্প, চন্দননগরের আলো হাবের মতো একাধিক কাজের কথা। সঙ্গে এসেছে ডানলপ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ডানলপ কারখানা আমরা চালাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বিজেপি সরকার তা করতে দেয়নি। কারণ, ওই কারখানার মালিক ওদের লোক। আমি মানুষের পাশে থাকি। তাই ডানলপের কর্মহারাদের প্রতিমাসে আর্থিক সাহায্য দিয়েছি। সিঙ্গুরের জমিহারা মানুষদেরও দিয়েছি। আগামী দিনে সকলের ঘর হবে, ১০০ দিনের কাজের টাকা দিয়েছি। বিজেপি কী করেছে? শুধু বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করেছে। তাই গলা তুলে বলতে হবে, কাজ নাই, ভোটও নাই।
বাংলায় ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত স্থান যে তাঁর কাছে সমান, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। উন্নয়নের প্রসঙ্গে ‘বাংলার দিদি’ জুড়ে দিয়েছেন ‘দিদি নম্বর ওয়ান’কে। রচনাকে কেন প্রার্থী করেছি জানেন? ‘অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেই তো তোমার আলো’— সেই আলোই হল রচনা। তখন প্রবল করতালিতে মাঠে কান পাতা দায়।