গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
সোমবার বোমা বিস্ফোরণের জেরে পাণ্ডুয়ার তিন্নায় এক শিশুর মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম হয় আরও দু’জন। তার রেশ কাটার আগেই এদিন গৃহবধূর মৃতদেহ সেই পাণ্ডুয়াতেই মেলে। ফলে, ভোট মরশুমে হই হই করে ময়দানে নেমে পড়ে রাজনৈতিক দলগুলি। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস অবশ্য দাবি করেছে, বজ্রপাতে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, লাগাতার দু’টি ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্য পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আজ, বুধবার পাণ্ডুয়া থানা ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছি বিজেপি। এদিন লকেট বলেন, বোমা বিস্ফোরণ থেকে গৃহবধূ খুন ও ধর্ষণের প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করছে পুলিস। রাজ্য সরকারের মুখ বাঁচাতে সত্যকে আড়াল করা হচ্ছে। সিমলাগড়ে যে গৃহবধূর মৃতদেহ মিলেছে, তিনি বজ্রপাতে মারা গিয়েছেন বলে পুলিস দাবি করেছে। অথচ স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সোমবার রাতে বাজ পড়েনি। চুঁচুড়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেও আমরা নিরপেক্ষ তদন্ত করতে বলেছি। পাণ্ডুয়ায় ধারাবাহিক আন্দোলন হবে। তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক অসীমা পাত্র বলেন, যে কোনও মৃত্যুই আমাদের কষ্ট দেয়। কিন্তু মৃত্যু নিয়ে বিজেপির রাজনীতি করার ধারাবাহিক চেষ্টা আরও কষ্টের। ভাবখানা এমন যে, আবার একটা মৃতদেহ পেয়েছি। হুগলির মানুষ এসব সহ্য করবেন না। পাণ্ডুয়া থানার পুলিস জানিয়েছে, দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ওই রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। ওই গৃহবধূর পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
এদিন মাঠে কাজ করতে গিয়ে মালিপাড়ার বাসিন্দারা মৃতদেহটি দেখতে পান। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সালোয়ার কামিজ পরা ওই গৃহবধূর মৃতদেহের কাছেই পড়ে ছিল একটি ব্যাগ। তাঁর মুখ থেকে গলার অংশ ফুলে বিকৃত হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি, ঝড়বৃষ্টি সোমবার রাতে হয়েছিল। অজ্ঞাত পরিচয় ওই মহিলা ওই রাতে নির্জন মাঠে কেন গিয়েছিলেন, সেই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।