গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
পুরসভার পেনশন বিভাগ সূত্রে খবর, একটা সময় এই ‘ব্যাকলগ’ বা বকেয়া রীতিমতো মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছিল। প্রায় দেড়, দু’বছরের বকেয়া পড়েছিল। আর্থিক টানাটানির কারণে পেনশন পর্যন্ত চালু করা যাচ্ছিল না। বকেয়া অর্থের পরিমাণ প্রায় ২৫০ কোটি টাকায় পৌঁছেছিল। বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। আর্থিক অবস্থারও খানিকটা উন্নতি হয়। সেই পরিস্থিতিতে অবসরপ্রাপ্তদের পেনশন চালু করে দেওয়া হয়েছিল। তবে গ্র্যাচুইটি সহ অন্যান্য অবসরকালীন ভাতা দেওয়া যাচ্ছিল না।
এই বিষয়ে এক কর্তা বলেন, গত মাসে ৩০ কোটি টাকা মিলেছিল। তা গিয়ে ২০২৩ সালের এপ্রিল এবং মে মাসের অবসরপ্রাপ্তদের প্রাপ্য টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার নতুন করে যে ২০ কোটি কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে, তা দিয়ে গত বছরের জুন এবং জুলাই মাসের টাকা মেটানো হবে। এই দু’মাস মিলে ১১৭ জন অবসরপ্রাপ্তের ফাইল অনুমোদন করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত এই খাতে বকেয়া ছিল প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে ৩০ কোটি টাকা মেটানো হয়েছে। ২০ কোটি টাকাও দ্রুত দিয়ে দেওয়া হবে। বাকি পড়ে থাকবে ১০০ কোটি টাকা। সেক্ষেত্রে চেষ্টা করা হচ্ছে, চলতি বছর পুজোর আগেই গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত অবসরপ্রাপ্তদের প্রাপ্য টাকা মিটিয়ে দেওয়ার। তাহলে বকেয়ার পরিমাণ আমরা অনেকটা কমিয়ে আনতে পারব। তবে, কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, অক্টোবর মাস থেকেই ফের উৎসবের মরশুম শুরু হবে। তখন পুরসভার আয় খানিকটা ধাক্কা খাবে। ফলে ফের এই খাতে ‘ব্যাকলগ’ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ওই আধিকারিকের কথায়, একই পরিস্থিতি গত বছরেও তৈরি হয়েছিল। গত বছর অক্টোবরের পর থেকে চলতি বছর মার্চ পর্যন্ত অবসরপ্রাপ্তদের গ্র্যাচুইটির কোনও টাকা দেওয়া যায়নি। পরে টাকা মেলায় গত বছরের এপ্রিল, মে মাসের প্রাপ্য মেটানো হয়েছে।