গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
ডানলপ কারখানা একদা বাঁশবেড়িয়ার পরিচয় চিহ্ন, গর্ব ছিল। বন্ধ কারখানার চত্বর এখন খাঁ খাঁ করে। কারখানার মখমলের মতো সড়কে শুধু ধুলো ওড়ে। ডানলপের মাঠে রাজনৈতিক দলের সভা হয়। কিন্তু আর একটি কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কথা কেউ বলে না। বাঁশবেড়িয়ায় গাছ-গাছালির নার্সারি করে স্বনির্ভরতার পথ খুঁজেছেন গৃহবধূ সঙ্গীতা ঘোষ। তিনি বলেন, রেলের ওয়াগন তৈরির কারখানা তো বাঁশবেড়িয়ায় হতেই পারত। অথবা কেন্দ্রীয় উদ্যোগে কোনও শিল্প। যা বাঁশবেড়িয়ার কারখানা শহরের সম্মানকে ফিরিয়ে দিতে পারত। কেন হয়নি, কী জটিলতা, সেসব জানি না। শুধু জানি, বাঁশবেড়িয়ার গৌরব সূর্য ডানলপের সঙ্গেই অস্তাচলে গিয়েছে। কম্পিউটার হার্ডওয়্যারের মেকানিক প্রলয় চক্রবর্তী মগরা ২ নম্বর পঞ্চায়েতের গজঘণ্টার বাসিন্দা। বাঁশবেড়িয়ায় তাঁর নিত্য যাতায়াত। প্রলয়বাবু বলেন, রেললাইনের পাশ দিয়ে একটি বিকল্প রাস্তা তৈরির দাবি উঠেছিল এক সময়। তাতে ত্রিবেণী থেকে সরাসরি ডানলপের পাশে জিটি রোডে চলে আসা যেত। এতে শহরে যানজটও অনেকটা এড়ানো যেত। কিন্তু কাজ কিছুই হয়নি। সব রাজনৈতিক দল তাদের মতো প্রচার করলেও এ নিয়ে কেউ কিছু বলছে না।
ঐতিহাসিক শহরের অন্যতম হতাশার নাম ত্রিবেণী-তারকেশ্বর রেলপথ। সেই রেলপথ আজ মাটির নীচে মুখ লুকিয়েছে। একদিন ত্রিবেণী থেকে মগরা, মহানাদ, দশঘড়া হয়ে তারকেশ্বর পৌঁছে যেত ট্রেন। সেই রেলপথের পুনরুজ্জীবন নিয়ে আজও প্রত্যাশায় গৃহবধূ রঞ্জিতা কর। তাঁর আফসোস, পুণ্যতীর্থ ত্রিবেণী, ভিন্নতর গঠনের হংসেশ্বরী মন্দির সর্বভারতীয় পরিচিতি পেল না। তিনি বলেন, অভিযাগ নয়, আক্ষেপ আছে। সেই রেলপথ ত্রিবেণী ও তারকেশ্বর দুই পুণ্যতীর্থকে জুড়ে দিত। সেসব এখন অতীত। ত্রিবেণীর ঐতিহাসিক ঘাটগুলিকে বর্ণময় করে তোলাও কঠিন কাজ ছিল না। হংসেশ্বরী মন্দির রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গেই কেবল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার নাম আছে। কিন্তু ভারতজুড়ে তার পরিচিতি নেই।
এমন হরেক আক্ষেপ মজে যাওয়া কুন্তী, সরস্বতীর পাড়ে জমাট বেঁধে আছে। গঙ্গার পাড়ের দামাল বাতাসে কান পাতলে সহজেই তা শোনা যায়। ভোট আসে, ভোট যায়। আক্ষেপের ঝুলি শুধুই চওড়া হয়।