গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
১৬ নং জাতীয় সড়ক দিয়ে বীরশিবপুর থেকে কুলগাছিয়ার দিকে যাওয়ার পথে অজান্তেই পথচারী থেকে বাসযাত্রী, সকলেই হাত দিয়ে মুখ ঢাকবেন। কারণ এই এলাকা ভরে উঠেছে দুর্গন্ধে। জাতীয় সড়কের এই এলাকায় একদিকে বিভিন্ন কারখানা থেকে নির্গত দূষিত, বিষাক্ত জল এলাকার পরিবেশ ধ্বংস করছে। অন্যদিকে, রাস্তার পাশে ক্রমাগত জমতে থাকা নোংরা, আর্বজনাও পরিবেশকে দূষিত করছে। পীরতলা এলাকার বাসিন্দাদের মতে, জাতীয় সড়কের পাশে থাকা একাধিক কারখানার কালো, হলুদ বিষাক্ত জল জাতীয় সড়কের পাশের নয়ানজুলিতে পড়ছে। দুর্গন্ধে ভরে উঠছে গোটা এলাকা। রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা এই পথ দিয়ে প্রচার করতে গেলেও এই নিয়ে কোন কথাই বলছেন না। ফলে সমস্যাও মিটছেনা। তাঁদের মতে, ভোট আসে ভোট যায়, কিন্তু এলাকার অন্যতম এই বড় সমস্যা নিয়ে কেউ কোনওদিন মাথা ঘামান না।
শ্রীরামপুরের বাসিন্দা সেখ ইলিয়াস জানান, রাতে ট্রাকে করে আর্বজনা নিয়ে এসে জাতীয় সড়কের পাশে ফেলা হচ্ছে। এলাকার পরিবেশে এর ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে। সাধারণ মানুষের স্বার্থে এই সমসার স্থায়ী সমাধান চান তিনি। শিক্ষক ও সমাজকর্মী অজয় দাস জানান, ভোট আসবে যাবে, সরকারও আসবে যাবে। কিন্তু পরিবেশ বাঁচলে আমরা বাঁচব, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বাঁচবে। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের উচিত তাদের কর্মসূচিতে পরিবেশকে অগ্রাধিকার দেওয়া। আর সেটা না হলে আগামী প্রজন্ম তাদের ক্ষমা করবে না। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কর্তা অশোক পয়রাও জানান, প্রার্থীদের এই বিষয়টি দেখা উচিত। শুধু জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ নয়, পরিবেশকে নির্মল রাখতে হলে সবাইকে এই ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে।