ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
সোমদত্তার বাবা এবং কাকা শিক্ষক। দাদু অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। এই পরিবারের মেয়েটির ইচ্ছা চিকিত্সক হওয়ার। সে বলে, ‘বাড়ির কেউ আমাকে কখনওই চাপ দেননি। নিজের ইচ্ছে মতো পড়াশোনা করেছি। আমার সে রকম ধরাবাঁধা কোনও রুটিন ছিল না। যখন ইচ্ছে হতো পড়তে বসতাম। প্রিয় বিষয় অঙ্ক।’ সোমদত্তার প্রিয় খাবার জল-মুড়ি। ওর মা শর্মিষ্ঠা রায় সামন্ত বলেন, ‘যখনই কিছু খেতে বলি, বলে আমাকে জল-মুড়ি দাও। ওকে কখনওই বকাবকি করতে হয়নি। আর মোবাইল দিলেও নিতে চায় না। ওর কোনও ব্যক্তিগত ফোনই নেই।’
সোমদত্তা কি ভেবেছিল, এমন ফল হবে? সে বলে, ‘ভালো ফল হবে ভেবেছিলাম। আসলে সবসময় টেনশনে থাকতাম, আমাকে নিয়ে বাড়ির লোক-স্কুলের এত চেষ্টা বিফলে যাবে না তো।’ পরিবারের বক্তব্য, চেষ্টা বিফলে যায়নি। পদার্থ বিজ্ঞান ও জীবন বিজ্ঞানে ওর নম্বর ৯৮। অঙ্ক ও ইংরেজিতে ৯৯। ভূগোলে ১০০, বাংলায় ৯৭ আর ইতিহাসে ৯৩। সোমদত্তার বাবা গোপালচন্দ্র সামন্ত বলেন, ‘ইতিহাসটা খুব পড়ত। এখন তো সব ছোট প্রশ্ন আসে। কিন্তু ওটায় নম্বরটা একটু কমে গেল। আমি ভেবেছিলাম, র্যাঙ্ক হয়ত করবে।’ গোপালবাবু পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক। বললেন, ‘আমার তো সময় হতো না। রাতে ১১টার পর কখনও ওকে নিয়ে বসতাম।’ সোমদত্তার মা গৃহবধু, অঙ্কে স্নাতকোত্তর। তিনিও মেয়েকে পড়াতেন। সোমদত্তা পাঁচ গৃহশিক্ষকের কাছে পড়ত। গোপালবাবু বলেন, ‘আমি কখনওই মেয়েকে বেসরকারি স্কুলে পড়াতে চাইনি। অনেকেই বলে, সরকারি বা আধা সরকারি স্কুল মানেই শিক্ষকরা ফাঁকি মারেন। আমরা জানি, পড়াতে কতটা পরিশ্রম করতে হয়। এটাও প্রমাণ করতে চেয়েছি যে, সরকারি স্কুলে পড়েও মেধাবী হওয়া যায়।’ সোমদত্তাও বলছিল, ‘আমার স্কুল কমলা গার্লসের জন্য আমি গর্বিত। স্কুলের শৃঙ্খলা আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে।’ সোমদত্তার এই সাফল্যের পর অভিনন্দন জানাতে ওদের বাড়ি গিয়েছিলেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়নী ঘোষ ও সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য।