ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
দাদার অনুপস্থিতির ছাপ রত্নজিতের রেজাল্টে স্পষ্ট। প্রায় ৪১ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করেছে ও। নিজের রেজাল্টে একেবারেই খুশি নয়। দাদার মৃত্যুর গভীর প্রভাব পড়েছে গোটা পরিবারের উপর। মেধাবী স্বপ্নদীপের স্মৃতিতে শোকাচ্ছন্ন রানাঘাটের পরিবারটি। নদীয়ার বগুলা হাইস্কুলের ছাত্র রত্নজিৎ। এই স্কুলেই পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিল তার দাদা স্বপ্নদীপ। একসঙ্গে স্কুলে যেত দু’জনে। বৃহস্পতিবার স্কুলে মার্কশিট তোলার সময় সে স্মৃতি পিছু ধাওয়া করল রত্নজিতের। হলুদ রঙের গেঞ্জি আর ছাই ছাই প্যান্ট পরে সকাল ১১টা নাগাদ স্কুলে চলে যায় সে। পাশ করলেও মুখে হাসি নেই। রেজাল্ট নিয়ে সোজা বাড়ি চলে আসে। তার কথায়, ‘দাদা মাধ্যমিকে ৮৭ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করেছিল। আর সেখানে আমি তার অর্ধেকও পাইনি। অঙ্কে খুব ভালো ছিল দাদা। আমি কোনও সমস্যায় পড়লে দাদাই অঙ্ক করে দেখিয়ে দিত। কিন্তু ও চলে যাওয়ার পড়াশোনায় গাইড করার মতো কেউ রইল না।’ রত্নজিতের বাবা বলেন, ‘আমার আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। ভালো গৃহ শিক্ষক দেওয়ার মতো পয়সা নেই। বড় ছেলে চলে যাওয়ার পর মানসিক অবস্থাও একেবারে তলানিতে। ছোট ছেলে যা রেজাল্ট করেছে সবটাই ওর নিজের চেষ্টায়।’
কলাবিভাগে মোটামুটি ফলাফল হয়েছে রত্নজিতের। ভুগোলে সবথেকে বেশি নম্বর পেয়েছে। ইচ্ছা কলাবিভাগে একাদশে ভর্তির। মলিন হেসে বলল, ‘মাধ্যমিকে পাশ করলে দাদা পিৎজা খাওয়াবে বলেছিল। সেটা হল না।’