ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
ভরদুপুরে রাস্তায় বেরিয়ে এই অবস্থা হয়নি তাঁর। বাড়ির টপ ফ্লোরে অতিরিক্ত গরমে ঘেমে নেয়ে একসা হয়েছিলেন। প্রথমে কথা জড়িয়ে যায়। তারপর খিঁচুনি শুরু করে। শেষে অজ্ঞান হয়ে যান। চিকিৎসকরা জানান, হিট স্ট্রোকে অধিকাংশ অঙ্গ বিকল হয়ে গিয়েছে এই মানুষটির। একে বলে নন এগজরশন হিট স্ট্রোক। বাড়িতেও অতিরিক্ত গরমের জন্য এই বিপদ হতে পারে। বাড়ির দরজা-জানলা বন্ধ থাকার কারণে হাওয়া বাতাস চলাচল বা ভেন্টিলেশন না থাকলে হওয়ার সম্ভাবনা।
দিনসাতেক আগে এক মহিলাকেও এই হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে আনা হয়েছিল। ৭৭ বছর বয়সি সেই বৃদ্ধারও জ্ঞান ছিল না। তাঁরও তাপমাত্রা ছিল ১০৭ ডিগ্রি। বয়সজনিত কারণ, সুগার, প্রেসার ইত্যাদি শারীরিক সমস্যার কারণে পরিস্থিতি চরমে উঠতে বেশি সময় লাগেনি। দমদমের বাসিন্দা এই বৃদ্ধাও গরমের মধ্যে রাস্তায় বের হননি। বাড়িতে অতিরিক্ত তাপে নন এগজরশন বা ক্লাসিক হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এই দু’জনের প্রাণ বাঁচাতে চেষ্টা চালাচ্ছেন চিকিৎসকরা। হিট স্ট্রোকের জেরে দু’জনেরই কিডনি, লিভার বিকল হওয়ার জোগাড়। হার্টের গণ্ডগোলও শুরু হয়েছে। ৫২ বছর বয়সি মানুষটি স্থূলকায় হওয়ায় বিপদ আরও বেড়েছে। সেটাই কো মরবিডিটি হয়ে উঠেছে। সূত্রের খবর, অত্যন্ত আশঙ্কাজনক এই দুই রোগী ছাড়াও আরও দু’জন ভর্তি এখানকার সিসিইউতে। ওয়ার্ডেও ভর্তি আরও চার। তাঁরা অতিরিক্ত গরম ও হলকার জেরে কম বেশি অসুস্থ হয়ে ভর্তি হন। হাসপাতালের সিসিইউ ইনচার্জ ডাঃ শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, বাড়িতে একা থাকা বয়স্ক মানুষদের দিকে এখন বিশেষ নজর দিতে হবে। তাঁদের অনেকেরই ছেলেমেয়ে বিদেশে বা দেশের অন্য রাজ্যে। নিউরো এবং মানসিক সমস্যায় ভোগেন অনেকে। কতটা জল বা ওআরএস পান জরুরি, বিপদের সময় কী করতে হবে, এই সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা বড় অংশের নেই। অনেকের নিজেকে দেখভাল করার অবস্থা নেই। আবার লোকবলও নেই।’ পিজি হাসপাতালের সিসিইউ’এর এক সিনিয়র চিকিৎসক বলেন, ‘বাড়িতে এসি নাও থাকতে পারে। কিন্তু তাতেও শরীরের দিকে নজর দেওয়া যায়। দরজা জানলা বন্ধ করে বিপদ বাড়াবেন না। অতিরিক্ত গরম, ঘামের জন্য বাড়িতেও যে কোনও সময় হিট স্ট্রোক হতে পারে।’