বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের ইসলামপুর এলাকায় গোলাম আম্বিয়া সাহাজির ১১৪ শতক জায়গা রয়েছে ৬৪৩২-৬৪৩৫ নং খতিয়ানে। ২০০০ সালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। সমস্ত কাগজপত্র রয়েছে সেই নামে। হঠাৎ করেই চলতি বছরের এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, এই জমির মালিক আর তাঁরা নন। পড়শি এক ব্যক্তি নতুন করে কাগজপত্র বানিয়ে মোট ১১৪ শতক জায়গার মধ্যে ৮৬ শতক নিজের নামে করে নিয়েছেন। জমির মালিক গোলাম আম্বিয়া সাহাজির নাম পরিবর্তন করে এক মহিলাকে মালিক করে দেওয়া হয়েছে। আর নাম পরিবর্তন করার পরেই উত্তরাধিকার সূত্রে সেই জমির মালিক হয়ে গিয়েছেন ওই মহিলার পরিবারের সদস্যরা।
প্রকৃত জমির মালিক পরিবারের পক্ষে সোহাগ সাহাজি বলেন, চলতি বছর ৮ এপ্রিল জালিয়াতি করে নতুন করে জমির রেকর্ড করা হয়েছে। দাদুর নাম পরিবর্তন করে এক মহিলার নামে জমি করে দেওয়া হয়েছে। ১৪ এপ্রিল হঠাৎ করে ভুয়ো মালিক আমাদের এই জমিতে অধিকার নেই বলে ফতোয়া জারি করেছে। তারপরই আমরা কাগজপত্র সার্চিং করে দেখতে পাই, দাদুর জমি ওঁদের নামে হয়ে গিয়েছে। সবটাই জালিয়াতি করে করা হয়েছে, পুরুষকে মহিলা বানিয়ে। এবার কী হবে বুঝতে পারছি না। বিএলএলআরও আমাদের ডেকেছেন বিষয়টি খতিয়ে দেখতে। বারাসত ১-এর বিডিও রাজীব দত্তচৌধুরী বলেন, বিষয়টি শুনিনি। তবে, বিএলএলআরওর সঙ্গে এনিয়ে কথা বলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবিষয়ে বারাসতের বিজেপি নেতা তাপস মিত্র বলেন, আসলে তৃণমূলের সৌজন্যে সরকারি দপ্তরগুলি যে দুর্নীতির আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে, তা স্পষ্ট। পুরুষ মালিককে মহিলা বানিয়ে জমি বেহাত হয়ে যাচ্ছে। অবাক বিষয়! পাল্টা তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি নিজামুল কবির বলেন, এটা সম্পূর্ণ পারিবারিক সমস্যা। এতে আবার রাজনীতির কী আছে। আসলে বিজেপির কিছু কাজ না থাকায় সবেতেই তৃণমূল দেখছে।