বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
মঙ্গলবার বামেদের হুগলি কেন্দ্রের প্রার্থী মনোদীপ ঘোষ, শ্রীরামপুরের দীপ্সিতা ধর ও আরামবাগের বিপ্লবকুমার মৈত্র মনোনয়ন পেশ করেন। আখনবাজার থেকে বাম ও কংগ্রেস কর্মীদের মিছিল বের হয়। সেই মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন বামজোটের প্রার্থীরা। মিছিলের মধ্যমণি ছিলেন তরুণতুর্কি নেত্রী দীপ্সিতা। নিখাদ বাঙালি সাজ ও লাল উত্তরীয়, লাল ছাতা ও লাল পতাকায় বামেদের মিছিল নজর কেড়েছে। কংগ্রেস কর্মীদের উৎসাহ ও মিছিলের প্রাণবন্ত চেহারা আরও বেশি করে রাজনৈতিক মহলকে আকর্ষণ করেছে। নবীনের সঙ্গে প্রবীণ নেতা-কর্মীদেরও মিছিলে পা মেলাতে দেখা গিয়েছে। বাম-কংগ্রেস জোটের একটি আবহ ছিল এই মিছিলকে ঘিরে। জোটের তিন প্রার্থীই এদিন নিজের নিজের কেন্দ্রে জিতবেন বলেই দাবি করেন। বামেদের নবীন প্রজন্মের নেত্রী তথা প্রার্থী দীপ্সিতা ধর বলেন, তিন কেন্দ্রেই জনমত আমাদের সঙ্গে আছে। প্রচার পর্বে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এবার আমাদের কাজ শেষপর্বের লড়াইকে জোরদার করা। মানুষ যদি নিজের ভোট নিজে দিতে পারেন, তাহলে ইভিএম যেদিন খোলা হবে, সেদিন শুধুই লাল আবির উড়বে।
মঙ্গলবার মহানাদ সহ একাধিক মন্দিরে পুজো দিয়ে মনোনয়নের মিছিলে অংশ নেন হুগলি কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এদিন চুঁচুড়া স্টেশন চত্বর থেকে গেরুয়া বাহিনীর মিছিল শুরু হয়। রাজনৈতিক বার্তা দিতে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী, প্রাক্তন বিচারপতি তথা দলের নেতা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যরা মিছিলে পা মেলান। সন্দেশখালি থেকে মহিলাদের একটি দলকেও আনা হয়েছিল। সেইসঙ্গে মিছিলে রাখা হয়েছিল নানা ট্যাবলো। তাতে বলাগড়ের নৌকা শিল্পের মডেল, সিঙ্গুরের কারখানার মডেল এবং অযোধ্যার রামমন্দিরের রামলালা মূর্তির মডেল রাখা হয়েছিল। জৌলুসের বিপুল প্রদর্শনী ছিল মিছিলে। এদিন মনোনয়ন পেশ করে সাংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন লকেট। তিনি বলেন, অন্যায়, অনিয়ম ও বঞ্চনার প্রতিবাদে মানুষ এবার বিজেপিকে ভোট দেবেন। আমরা নিশ্চিত, হুগলি আসন দ্বিতীয়বারের জন্য মোদিজিকে উপহার দিতে পারব।