সংবাদদাতা, বারুইপুর: এক নাবালিকাকে মুখ বেঁধে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। এ নিয়ে তোলপাড় কুলতলিতে। ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রী দাদুর বাড়িতে বেড়াতে এসে এই ঘটনার শিকার হয়। এর মধ্যে এই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তাপস দাস। অভিযোগ, তিনি সালিসি সভা বসিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করেন। থানায় জানাতেও নিষেধ করেন। এমনকী, বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য ওই পরিবারকে এক লক্ষ টাকা দেওয়ার টোপও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মুখ খুললে অভিযুক্তরা ওই নাবালিকাকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ওই সালিসি সভাকে গুরুত্ব না দিয়ে নাবালিকার পরিবার রবিবার রাতে কুলতলি থানায় অভিযোগ দায়ের করে। তার ভিত্তিতে পুলিস দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। তৃণমূল নেতা তাপস দাস এই বিতর্কে তাঁর জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। আমিই তাঁদের পুলিসের কাছে অভিযোগ জানাতে পরামর্শ দিয়েছি। কোনও সালিশি সভা হয়নি। আমি চাই অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি হোক।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই নাবালিকা ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। সে কুলতলিতে দাদুর বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। নির্যাতিতা বলে, বাড়ির পাশে হরিনামের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন দাদু ও দিদা। আমি ঘরেই ছিলাম। সেই সময় দু’জন লোক ঘরে ঢুকে বলে, দাদুর সঙ্গে কার ঝামেলা হচ্ছে। আমাকে যেতে বলেছে। এরপর আমি বের হতেই অভিযুক্তরা আমার মুখ বেঁধে কোলে করে মাঠের মধ্যে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। স্থানীয়রাই আমাকে উদ্ধার করে। পরিবারের সদস্যরা বলেন, তৃণমূল নেতা তাপস দাস বিষয়টি মিটিয়ে নিয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে বারণ করেছিলেন। কিন্তু আমরা তাঁর কথা না শুনে থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।