যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
ঘটনাটি ২০১৮ সালের। বছর পনেরোর এক নাবালিকা হাওড়ার লিলুয়ায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকত। পরিবারে সদস্য বলতে একমাত্র বাবা। ওই নাবালিকার মা নেই। কেবল এক দিদি রয়েছেন। যদিও আগেই তাঁর বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ফলত, বাড়িতে বাবার সঙ্গে একাই থাকত মেয়েটি। একদিন বাড়িওয়ালার স্ত্রী মেয়েটির গোঙানির শব্দ শুনতে পান। ঘর থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। কী হয়েছে জিজ্ঞাসা করাতে, মেয়েটি পুরো বিষয়টি জানায় মহিলাকে। নিজের বাবা কীভাবে তাকে লাগাতার ধর্ষণ করত, সেই কাহিনী শোনার পরেই বাড়িওয়ালা বিষয়টি পুলিসে জানানোর সিদ্ধান্ত নেন। লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন লিলুয়া থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। তার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার সময়ে সাতজন সাক্ষীর বয়ান নেওয়া হয়। লিখিত জবানবন্দি দেয় নির্যাতিতা নাবালিকা। এছাড়াও সমস্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারক সৌরভ ভট্টাচার্য বাবাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।
এই মামলার সরকারি আইনজীবী সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওই নাবালিকা নিজের বাবার কাছেই ধর্ষিতা হয়েছিল। দীর্ঘদিন বিষয়টি বাইরের কাউকে বলতে পারেনি। তবে বাড়িওয়ালারা উদ্যোগ নিয়ে পুলিসের কাছে আসাতেই মামলা আদালতে পৌঁছতে পেরেছে। সমস্ত তথ্যপ্রমাণ বিচার করেই বাবাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।