বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
সকালে ভাটপাড়ায় মন্দিরে পুজো দিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে রওনা হন অর্জুন সিং। সঙ্গে ছিলেন দলের জেলা সভাপতি মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ছিল বহু গাড়ির বিশাল কনভয়। অর্জুনের বলেন, ‘পুলিস ইচ্ছাকৃতভাবে আমাকে মিসগাইড করেছে। কারণ, ওরা চাইছিল আমি যাতে সময়মতো মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য না পৌঁছতে পারি। নির্বাচন কমিশনে এ বিষয়ে অভিযোগ করব।’ বারাসত পুলিস জেলার সুপার প্রতীক্ষা ঝারখারিয়া অবশ্য জানিয়েছেন, তৃণমূল এবং বিজেপির প্রার্থীর জন্য আলাদা আলাদা রুট ঠিক করা হয়েছিল এবং ওঁদের ইলেকশন এজেন্টকে জানানো হয়েছিল। হয়তো মিস কমিউনিকেশননের কারণে কিছু সমস্যা হয়েছে। তবে মিটেও গিয়েছে।
তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক এদিন মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসার আগে বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ নৈহাটিতে বড়মার মন্দিরে পুজো দেন। তারপর নৈহাটি থেকে বহু গাড়ির কনভয় নিয়ে বারাসতের উদ্দেশে রওনা হন। অর্জুন সিং মনোনয়ন জমা দিয়ে বেরনোর মিনিট ২০ বাদে তিনি কয়েকশো গাড়ির মিছিল নিয়ে জেলাশাসকের দপ্তরে পৌঁছন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী, সুবোধ অধিকারী, সোমনাথ শ্যাম, রফিকুর রহমান সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। বারাকপুর কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার তথা অতিরিক্ত জেলাশাসক(পঞ্চায়েত) পিনাকীরঞ্জন প্রধানের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন দু’জনেই। সেখান থেকে বেরিয়ে অর্জুনের অভিযোগ প্রসঙ্গে পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘আমার মনে হয় না, এভাবে নমিনেশন জমা দিতে আসার সময় কাউকে আটকে দেওয়া যায়।’ জয়ের ব্যাপারে তিনি ১০০ শতাংশ আত্মবিশ্বাসী বলে জানিয়ে যান। এরপর কাছারি ময়দানের টেন্টে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা সেরে তিনি গারুলিয়ায় জনসংযোগ যাত্রায় যোগ দিতে রওনা হন। আজ, মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমা দেবেন বারাকপুরের সিপিএম প্রার্থী দেবদূত ঘোষ।