যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
জেমস লং সরণি থেকে মহাত্মা গান্ধী রোড ধরে ঠাকুরপুকুর ক্যান্সার হাসপাতাল পর্যন্ত যাতায়াতে গলদঘর্ম হতে হয় সবাইকে। কারণ রাস্তাটি খুবই সঙ্কীর্ণ ছিল। তার উপর রাস্তার একপাশ দখল করে বসেছিল সারি সারি দোকান। পথচারীদের পক্ষে হাঁটাও ঝক্কির হয়ে উঠেছিল। সেই সঙ্গে ছিল রাস্তার পাশে খোলা নর্দমা। কেইআইআইপি প্রকল্পে সেখানে ভূগর্ভস্থ নিকাশি তৈরি হয়েছে। এবার রাস্তাও চওড়া হচ্ছে।
ইতিমধ্যে দখলদারদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা অভয় ভৌমিকের কথায়, ‘এতে একদিকে যেমন জল জমার সমস্যা মিটবে, সেই সঙ্গে মসৃণ এবং গতিশীল হবে যান চলাচল। রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ ছিল। প্রচণ্ড ধুলো উড়ত। সেই দূষণও কমেছে।’
ভূগর্ভস্থ নিকাশির কাজ শেষ হওয়ায় নতুন রাস্তা তৈরির কাজে হাত দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। ঠাকুরপুকুর ক্যান্সার হাসপাতাল থেকে চড়িয়াল সেতুর দিকে এগতেই ডান দিকে চলে গিয়েছে নয়া একটি বাইপাস। মহাত্মা গান্ধী রোডকে মতিলাল গুপ্ত রোডের সঙ্গে যুক্ত করবে এই বাইপাস।
ফলে, ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের যাতায়াতের সময়ও বাঁচবে। সেখানে বহু আগে খালের দু’পাশে সরু রাস্তা ছিল। গোটা এলাকায় জমা জলের সমস্যাও ছিল। ওই মজে যাওয়া খাল বন্ধ করে তৈরি হয়েছে ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালা। বৃহদাকার তিনটি পাইপলাইন বসানো হয়েছে। তৈরি হচ্ছে চার লেনের নতুন রাস্তা এবং ফুটপাত। জমা জলের সমস্যা মেটাতে তৈরি হয়েছে নিকাশি পাম্পিং স্টেশন।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় ১৬ নম্বর বরো চেয়ারম্যান সুদীপ পোল্লে বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধী রোডের হাল খুব খারাপ ছিল। অপরিসর রাস্তায় নিত্য যানজট হয়। রাস্তা চওড়া হওয়াতে একদিকে যেমন হাঁটাচলায় সুবিধা হবে, তেমনি যান চলাচলও সহজ হবে। বৃহত্তর স্বার্থে দখলদারদের সরানো হয়েছে।’ পুরসভার সড়ক বিভাগ জানিয়েছে, চড়িয়াল খাল পোল থেকে জেমস সং সরণি পর্যন্ত রাস্তা হয়ে গেলে পরের ধাপে ক্যান্সার হাসপাতাল পর্যন্ত রাস্তাটি চওড়া করা হবে। সেখানেও প্রায় দ্বিগুণ চওড়া করা হবে রাস্তা।