যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে পাথরবোঝাই একটি ডাম্পার বনগাঁ থেকে বাঁশঘাটায় যাচ্ছিল। সীমান্তবর্তী রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় সুটিয়া ব্রিজ পার করছিল সেটি। তখনই ব্রিজ ভেঙে কোদালিয়া নদীতে পড়ে যায় ডাম্পারটি। নদীতে তেমন জল নেই, কাদা আর কচুরিপানায় ভর্তি। ব্রিজের মাঝের অংশটি পুরোটাই নদীতে পড়ে যায়। এই রাস্তাটি মূলত বিএসএফ জওয়ানরা ব্যবহার করেন। তবে সীমান্তের বাঁশঘাটা, সুটিয়া, মোস্তাফাপুর, বয়রা প্রভৃতি এলাকার বাসিন্দারাও নিত্য যাতায়াতে ব্যবহার করেন এই সেতুটি। স্থানীয় বাসিন্দা মধুসূদন মণ্ডল বলেন, সকালে মাঠে কাজ করছিলাম। তখন ওই ডাম্পারটি বাঁশঘাটার দিকে যাচ্ছিল। হঠাৎ বিকট শব্দ হল। গিয়ে দেখি ব্রিজ ভেঙে পড়েছে। পাশেই রয়েছে ব্রিজের বিবরণ দেওয়া বোর্ড। সেই বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯৭ সালে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ান ও স্থানীয়দের চলাচলের সুবিধার্থে এই ব্রিজটি তৈরি হয়। সিপিডব্লুডির অধীনে রয়েছে এই ব্রিজটি। ২০১৭ সালে শেষবারের মতো এই ব্রিজের বহন ক্ষমতা পরীক্ষা করা হয়েছিল। লোহার তৈরি ব্রিজটি দিয়ে বিএসএফ জওয়ানরা তাঁদের ব্যবহারের গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করলেও ভারী যান চলাচল করত না। তবে এদিন কীভাবে বিরাট এই ডাম্পারটি পাথর নিয়ে এই ব্রিজ দিয়ে যাচ্ছিল, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। এবিষয়ে স্থানীয় ট্যাংরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান স্বরূপ বিশ্বাস বলেন, বাঁশঘাটায় রাস্তার কাজ চলছিল। সেই কাজের জন্য পাথর নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ব্রিজটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।