সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
সিপিএমের হুগলি জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলেন, ‘এবার আমাদের প্রার্থী দীপ্সিতা ধরকে ঘিরে নতুন উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। তার ফল ইভিএমে মিলবেই মিলবে।’ শ্রীরামপুর লোকসভার বিজেপি প্রার্থী কবীরশঙ্কর বসু বলেন, ‘এবার ইতিহাস গড়বে শ্রীরামপুর লোকসভা ও বিধানসভা।’ সেই সূত্রে তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক সুবীর মুখোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ‘ইতিহাস অবশ্যই গড়বে শ্রীরামপুর এবং তা হবে তৃণমূলের পক্ষে। শ্রীরামপুর বিধানসভা ফল এবার অন্যরকম হবে।’
একদা ডেনমার্কের কলোনি ছিল শ্রীরামপুর। প্রথমে বণিকশাসন, পরে সরাসরি ডেনমার্কের রাজার অধীনে যায় বাংলার নবজাগরণের ধাত্রীভূমি এই জনপদ। তখন এই এলাকার নাম হয়েছিল ফ্রেডরিখনগর। কিন্তু এসব সরকারি নথি, দলিল-দস্তাবেজের নাম। আম জনতা প্রাচীন এই শহরকে বরাবর শ্রীরামপুর নামেই চিনে আসছে। এহেন ঐতিহাসিক শহরে এবারের লোকসভার লড়াই বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কারণ, পাকেচক্রে বেড়ে যাওয়া ভোট আর স্থায়ী ভোটব্যাঙ্কের লড়াই হতে চলেছে লোকসভা নির্বাচনে।
২০১১ সালের আগেই শ্রীরামপুরে তৃণমূলের জয়পতাকা উড়েছিল। ২০০৯ সালে বাই-ইলেকশনের ফলাফলেও ৫০ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছিল তৃণমূল। ২০১১ থেকে ২০২১ পর্যন্ত প্রাপ্ত ভোটের হার বিচার করে দেখা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে কম, ৪৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিল তৃণমূল। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৪৯.৪৬ শতাংশ ভোট পায় তারা। ওই নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী ৩৭ শতাংশ ভোট পান। সেই প্রার্থী কবীরশঙ্কর বসুই এবার লোকসভায়ও বিজেপির প্রার্থী। ২০২১ সালের নির্বাচনে আরেকটি পরিসংখ্যানও নজরকাড়া। সেবার বামজোটের হয়ে শ্রীরামপুর বিধানয়ভায় লড়েছিল কংগ্রেস। তাদের ভোট প্রায় ২৭ শতাংশ কমে যায়। আর বিজেপি এবং তৃণমূলের যথাক্রমে প্রায় ২২ ও ৫ শতাংশ করে ভোট বেড়ে যায়। অথচ, ২০১৬ সালে জোটের কংগ্রেস প্রার্থী ৩৭ শতাংশ হারে মোট ৬৫,০৮৮ ভোট পেয়েছিলেন।
২০১৯ সালের লোকসভার ফল আরও চমকপ্রদ। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের মাত্র তিনবছরের মধ্যে সিপিএম ও কংগ্রেস পৃথক পৃথকভাবে মোট প্রায় ২৫ হাজার ভোট জোটাতে পেরেছিল। আর বিজেপি পেয়েছিল ৭৫,৩২৬ ভোট। স্থায়ী ভোটব্যাঙ্কের জোরে তৃণমূল পেয়েছিল ৭২,৮২৩ ভোট। রাজনৈতিক মহল বলছে, এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, শ্রীরামপুরে এবারের লড়াই স্থায়ী বনাম ‘পড়ে পাওয়া’ ভোটব্যাঙ্কের।