সংবাদদাতা, বারুইপুর: প্রখর তাপপ্রবাহের মধ্যেই চড়ছে প্রচারের পারদ। মঙ্গলবার সকালে জয়নগর লোকসভার কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডল জয়নগরের গ্রামে হেঁটেই প্রচার সারলেন। প্রার্থীকে দেখে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে মালা পড়ালেন বিশেষভাবে সক্ষম এক যুবক। অন্যদিকে, গোসাবার ছোট মোল্লাখালি থেকে শুরু করে সাতজেলিয়ার হাটে-বাজারে জনসংযোগ সারলেন এই কেন্দ্রের আরএসপি প্রার্থী সমরেন্দ্রনাথ মণ্ডল। আবার কুলতলির মেরিগঞ্জ ১ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায় আইএসএফ প্রার্থী মেঘনাদ হালদারের সমর্থনে সভা করেন বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকী। যদিও এই সভা ভরাতে বাসে করে ভাঙড়, রাজারহাট থেকে লোক আনা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছে শাসকদল।
এদিন, জয়নগর ২ নম্বর ব্লকের শাহজাদাপুর পঞ্চায়েতের কমলপুর এলাকা থেকে প্রচার শুরু করেন তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডল। সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস ও জেলা পরিষদ সদস্য খান জিয়াউল হক। প্রখর রোদের মধ্যেই হেঁটে প্রচার করেন তিনি। অটো, টোটোয় থাকা যাত্রীদের সঙ্গেও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর চণ্ডীপুর বাজার মোড়ে প্রার্থী গেলে ক্রাচে ভর করে এসে তাঁকে মালা পরিয়ে দেন বিশেষভাবে সক্ষম এক যুবক। এই এলাকাতেই একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের বহুজন সমাজবাদী দলের প্রার্থী শঙ্করদেব মণ্ডল। প্রতিমাদেবী তাঁর কাছ থেকেও আশীর্বাদ নেন। শঙ্করবাবু বলেন, যিনি জিতুন না কেন, কাজ করতে হবে মানুষের জন্য। এরপর পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে প্রচার শেষ হয় পঞ্চাননতলায়। আরএসপি প্রার্থী সমরেন্দ্রনাথ মণ্ডল এদিন বাম কর্মীদের নিয়ে ছোট মোল্লাখালি, সাতজেলিয়া এলাকায় হাটে প্রচার করেন। ব্যবসায়ীরা এলাকার নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন প্রার্থীর কাছে। সমরেন্দ্রবাবুর কাছে ব্যবসায়ীদের দাবি, জিতলে সুন্দরবনের অর্ধ সমাপ্ত রেলপথের কাজ শেষ করতে হবে আপনাকে। উত্তরে তিনি বলেন, এই দাবি নিয়েই সোচ্চার হব সংসদে। অন্যদিকে, কুলতলিতে আইএসএফ প্রার্থী মেঘনাদ হালদারের সমর্থনে এক জনসভায় বক্তব্য রাখেন নৌশাদ সিদ্দিকী।
 নিজস্ব চিত্র