গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
দলেরই বিরুদ্ধে ইদানীং কথা বলছেন বসিরহাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এ প্রসঙ্গে রাজ্য সভাপতি বলেন, সন্দেশখালি পাপ ঢাকার জন্য তৃণমূল অনেক কিছু করছে। আমরা দেখেছি, বীরভূমে মার্ডার হওয়ার পর ছেলে প্রথমে দাবি করেছিল, তৃণমূলের ছোড়া বোমাতে বাবার মৃত্যু হয়েছে। পরে তিনি বয়না বদলে ফেললেন। একই সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও সরব হয়েছেন সুকান্ত। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট বলে দিয়েছে, এসএসসিতে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে চুরি হয়েছে। অর্থাৎ, এসএসসি আর রাজ্য সরকার প্রাতিষ্ঠানিক চোর।
বৃহস্পতিবার সকালে লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়ার সমর্থনে রোড শো করেন সুকান্ত। সকাল ন’টার সময় রোড শো করার কথা জানানো হয়েছিল বিজেপির তরফে। সেই মতো মহিলা ঢাকি এনে দশটি টোটোয় ফ্লেক্স লাগিয়ে প্রচার চলে। কিন্তু প্রার্থী ও রাজ্য সভাপতি আসেন বেলা ১১ টায়। যা নিয়ে অনেক বিজেপি কর্মীর মধ্যেই অসন্তোষ দেখা যায়। বার্নপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে রোড শো শুরু করেন সুকান্ত। কিন্তু নেতাকর্মীদের সেভাবে জড়ো করতে পারেনি গেরুয়া শিবির। হাতে গোনা কিছু সংখ্যক কর্মীকে নিয়েই গাড়িতে শুরু হয় রোড শো। বার্নপুর বাস স্ট্যান্ড হীরাপুর থানা ডেইলি মার্কেট হয়ে বারি ময়দান পর্যন্ত যান রাজ্য সভাপতি। রাস্তার পাশে মানুষের ভিড়ও সেভাবে নজরে পড়েনি। যাঁরা হাত নেড়েছেন তাঁদের উদ্দেশ্যে চকলেট ছুঁড়ে উৎসাহ বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন বালুরঘাটের বিদায়ী এমপি। বারি ময়দানে পুজো দেওয়ার জন্য গাড়ি থেকে নামেন প্রার্থী ও রাজ্যসভাপতি। পুজোশেষে ফের শুরু হয় রোড শো।
আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের যে কয়েকটি জায়গা বিজেপিকে অক্সিজেন দেয় তারমধ্যে অন্যতম বার্নপুর। আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা অন্তর্গত এই ইস্পাত শহর বারবার বিজেপিকে লিড দিয়েছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই বিধানসভা এলাকা থেকেই প্রায় পঞ্চাশ হাজার ভোটে লিড পেয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা প্রার্থী সায়নী ঘোষ পরাজিত হন। যার বড় কারণ ছিল বার্নপুর শহর। যদিও ২০২২ সালের লোকসভা ভোটের উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা এই শহর থেকে লিড পান।
এবার ভোটেও বিজেপি তাকিয়ে কুলটি বার্নপুর ও রানিগঞ্জের দিকে। তাই রাজ্য সভাপতিকে প্রচারে এনে গেরুয়া ঝড় তুলতে চেয়েছিল দলের স্থানীয় নেতৃত্ব। রাজনৈতিক মহলের মতে, সে উদ্দেশ্য একপ্রকার সফলই হয়নি। যাতে চাপ বেড়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে।