গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগডাঙা সব্জিহাটে মোজাম্মেল হক, সাইদুল ইসলাম ও রহেদ আলির সব্জির দোকান ছিল। তারা তিনজনই বাম কর্মী বলে খবর। মোজাম্মেল আগে তৃণমূল কংগ্রেস করতেন। ভোটের আগে তিনি তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমে যোগ দেন। অভিযোগ, তারপর থেকেই তৃণমূলের লোকেরা তাঁকে হুমকি দিত। বুধবার সন্ধ্যায় তাঁকে তৃণমূলের লোকেরা হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। এরপরই ওই রাতে কেউ বা কারা তাঁর দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনায় পাশাপাশি তিনটি দোকান সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। এরপরই ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা অভিযোগ করেন, তাঁরা বাম-কংগ্রেস জোট করায় তাঁদের দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও তৃণমূলের দাবি, ওই তিন সব্জি বিক্রেতার কাছে আড়তদারের লক্ষাধিক টাকা বকেয়া রয়েছে। সেই টাকা যাতে না দিতে হয়, তাই কায়দা করে নিজের দোকান পুড়িয়ে এখন তৃণমূলের নামে দোষ দিচ্ছে তারা।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক মোজাম্মেল হকের ভাইপো নাসিবুল হোসেন বলেন, আমার কাকা আগে তৃণমূল করত। ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমে যোগ দিয়েছে। এরপর থেকেই তৃণমূলের লোকেরা কাকাকে হুমকি দিত। ওইদিন বিকেলেও কাকাকে তৃণমূলের লোকেরা হুমকি দিয়েছিল। এরপরই ভোর রাতে কাকা সহ আরও দু’টি দোকান পুড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূলের লোকেরা।
সিপিএমের ডোমকল এরিয়া কমিটির সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রানা বলেন, দিকে দিকে আমাদের কর্মীদের উপর হুমকি, অত্যাচার চালাচ্ছে তৃণমূল। আজকে আমাদের তিন কর্মীর দোকান পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় ডোমকল থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিস তদন্ত করে দেখুক বিষয়টি।
ডোমকল ব্লক তৃণমূল সভাপতি হাজিকুল ইসলাম বলেন, এটি রাজনৈতিক কোনও বিষয় নয়। ওদের কাছে মহাজনরা প্রায় লক্ষাধিক টাকা পাবেন। এদিন তাঁর হালখাতা ছিল। সেই টাকা না দেওয়ার জন্যই ওরা নাটক করে নিজের দোকানে আগুন লাগিয়ে ঘটনাটিকে রাজনৈতিক পরিচয় দিচ্ছে। এসবের সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবেই জড়িত নয়।
পুলিস জানিয়েছে, ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের তরফে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত চলছে।