বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা

ট্যাংরা কাণ্ড: ‘পরীক্ষার সময় তো পায়েস দাও না?’ প্রশ্ন ছিল মেয়ের

ট্যাংরা কাণ্ডের দুই কারিগর প্রণয় ও প্রসূন দে জানতেন, প্রশ্ন উঠবে। তাই বড়ভাই প্রণয়েরই প্ল্যান ছিল, পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিন থেকেই বাড়িতে পায়েস রান্না হবে। দু’দিন ভালোয় ভালোয় কাটলে ‘আসল দিনে’ আর সন্দেহ হবে না স্ত্রী-ছেলেমেয়ের। সেইমতোই ১৫ ফেব্রুয়ারি পায়েস রান্না হয় দে বাড়িতে। প্রশ্ন সেদিনই তুলেছিল প্রিয়ংবদা... ‘বাবা, পরীক্ষার সময় তো কখনও পায়েস হয় না! আজ কেন হল?’ প্রসূনের উত্তর ছিল, ‘এক গুরুজন বলেছেন। পায়েস খেলে পরীক্ষা ভালো হবে। আর জেঠু বলেছে, এবার পরীক্ষার সময় প্রত্যেকদিনই পায়েস হবে। বাড়ির সবাই খাবে।’ সংশয় ছিল না কিশোরীর। তার উপর পায়েসে তুলসিপাতা দিয়ে স্বাদ বাড়ানো হয়েছিল। পুজোআচ্চার বাড়িতে প্রিয়ংবদা এই স্বাদ জানত। তাই সন্দেহ হয়নি তার। চার লিটার দুধ এসেছিল বাড়িতে। ১৬ ফেব্রুয়ারিও ‘নিয়ম’ বদলায়নি। আর ১৭ তারিখ, অর্থাৎ সোমবার পরীক্ষা ভালো হওয়ায় জেঠুর প্রতি ‘আস্থা’ও বেড়ে যায় প্রিয়ংবদার। কিন্তু গোলমাল হয় রাতে। তখনই পায়েসে বাবা প্রসূন ও জেঠু প্রণয়কে ওষুধ মেশাতে দেখে ফেলে সে। তখন আর ঝুঁকি নেয়নি প্রসূন। তখনই ঘরে নিয়ে গিয়ে জোর করে ওই ‘বিষাক্ত’ পায়েস খাইয়ে দেওয়া হয় মেয়ে প্রিয়ংবদাকে। এই ভয়াবহ প্ল্যানের কথা প্রণয় সোমবার জেরায় স্বীকার করে নিয়েছে বলে পুলিস সূত্রে খবর। 
ক্যালেন্ডারের পাতা যত ওল্টাচ্ছে, ততই প্রকাশ্যে আসছে দে পরিবারে হত্যাকাণ্ডের ঠান্ডা মাথার ভয়াবহতা। পুলিস দাবি করেছে, ঋণের বোঝা সম্পর্কে অবগত ছিলেন দুই স্ত্রী। তাঁদের গয়না বন্ধক রেখে ১০ লক্ষ টাকা লোনও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু খুনের প্ল্যান? সেটাও তাঁরা জানতেন বলে পুলিস সূত্রে খবর। তাহলে কি ছেলেমেয়েদের মেরে ফেলার ব্যাপারে সায় ছিল তাঁদের? সেক্ষেত্রে মায়ের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রসূনের স্ত্রী রোমি এতটা নির্বিকার থাকেন কীভাবে? ১৭ তারিখ গভীর রাতে প্রিয়ংবদাকে ওষুধ মেশানো পায়েস খাওয়ানো হয়। আর আচ্ছন্ন দুই বধূর হাতের শিরা কাটা হয় তার পরদিন, অর্থাৎ ১৮ ফেব্রুয়ারি। ওই মঙ্গলবার গোটা দিনটাই কিন্তু তিনটি মৃতদেহ নিয়ে বাড়িতেই ছিল প্রণয় ও প্রসূন। সঙ্গে প্রণয়ের আচ্ছন্ন, জখম নাবালক ছেলে। প্রিয়ংবদার ঘরে গিয়ে সকালে সে দেখে, দিদির দেহ পড়ে আছে। সেখানেই তার হাত কাটার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে পুলিস জেরায় জেনেছে। কিন্তু পায়েস বেশি পরিমাণে না খাওয়ায় একেবারে ঝিমিয়ে পড়েনি নাবালক। তাই হাতের শিরা কাটার সময় চিৎকার করে ওঠে। তাই সেখানেই থেমে যায় প্রসূন। নিয়ে যাওয়া হয় চারতলায়। তবে তখনও মা-কাকিমার সাড়া পায়নি সে। তবে পুলিস নিশ্চিত, ১৮ তারিখই তাদের খুন করা হয়েছে। ধোঁয়াশা যতটুকু রয়েছে, তার সবটাই দুই ভাইয়ের বয়ানে অসঙ্গতির জন্য। প্রসূন এদিনও দাবি করেছে, সুদেষ্ণা ও রোমিই নিজেদের হাতের শিরা কেটেছে। তবে তারা পুলিসের কাছে আক্ষেপ করেছে, এমনটা হবে জানলে মৃত্যুর অন্য কোনও পথ বেছে নিতাম। আর বাঁচার ইচ্ছা নেই।
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পরিবারের কারুর ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশি চিন্তায় মানসিক চাপ বৃদ্ধি। ব্যবসাপাতি হলেও অর্থপ্রাপ্তিতে বাধা থাকবে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৫.৭৮ টাকা৮৭.৫২ টাকা
পাউন্ড১০৮ টাকা১১১.৭৮ টাকা
ইউরো৮৯.৪৬ টাকা৯২.৮৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা