মুম্বই: জল্পনা-কল্পনার অবসান। দীর্ঘ ১৪ মাস পর জাতীয় দলে ফিরলেন মহম্মদ সামি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজে ভারতীয় স্কোয়াডে এলেন বর্ষীয়ান পেসার। ৩৪ বছর বয়সি শেষবার দেশের জার্সি গায়ে চাপিয়েছিলেন ২০২৩ সালের নভেম্বরে ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনালে। তারপর গোড়ালির চোট ও হাঁটুর সমস্যায় এতদিন ছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে। তাৎপর্যের হল, সামির প্রত্যাবর্তন ঘটছে ২২ জানুয়ারি ইডেনে।
সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বে ঘোষিত দলে নেই যশপ্রীত বুমরাহ, ঋষভ পন্থ, যশস্বী জয়সওয়াল, কুলদীপ যাদব, রিয়ান পরাগরা। ঘোষিত স্কোয়াড: সূর্য (অধিনায়ক), সঞ্জু স্যামসন, অভিষেক শর্মা, তিলক ভার্মা, নীতীশ রেড্ডি, মহম্মদ সামি, অর্শদীপ সিং, হর্ষিত রানা, ধ্রুব জুরেল, রিঙ্কু সিং, হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল (সহ-অধিনায়ক), রবি বিষ্ণোই, বরুণ চক্রবর্তী, ওয়াশিংটন সুন্দর। উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে আসা দল থেকে বাদ পড়েছেন রামনদীপ সিং, জিতেশ শর্মা, আভেশ খান, যশ দয়াল, বিজয়কুমার ব্যাশক। পরিবর্তে দলে এসেছেন নীতীশ রেড্ডি, হর্ষিত রানা, ধ্রুব জুরেল, ওয়াশিংটন সুন্দর। ভারতের টেস্ট স্কোয়াডে থাকায় এঁরা খেলতে পারেননি প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে।
এদিকে, ডনের দেশে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে টিম ইন্ডিয়ার ভরাডুবির পর রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির ভবিষ্যৎ নিয়ে চলছে জোর চর্চা। রোহিত শর্মা কি আর দলে থাকবেন? বিরাট কোহলিকেও কি দেওয়া হবে কোনও কড়া বার্তা? নাকি আরও কিছুদিন আস্থা রাখা হবে তাঁদের উপর? শনিবার আরব সাগরের পাড়ে বোর্ডের সদর দপ্তরে কোচ গৌতম গম্ভীর ও নির্বাচকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান অজিত আগরকরের সঙ্গে বোর্ড কর্তাদের আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন এই দু’জনেই। নিউজিল্যান্ডের কাছে ০-৩ হোয়াইটওয়াশ ও অস্ট্রেলিয়ায় ১-৩ পরাজয়ের ময়নাতদন্তও হয় বৈঠকে। কোচ গম্ভীরের পারফরম্যান্স নিয়েও চলে কাটাছেঁড়া। এই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে নির্বাচকরা কাদের উপর ভরসা রাখতে চাইছেন, তা নিয়েও পর্যালোচনা হয়।
ভারতের পরের টেস্ট সিরিজ কয়েক মাস বাকি। জুন-জুলাইয়ে টেমসের পাড়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ টেস্টের সিরিজে রোহিত-কোহলি থাকবেন কিনা তা নিয়ে এই মুহূর্তে অবশ্য কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আপাতত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দুই মহাতারকা কেমন পারফরম্যান্স করেন সেদিকে নজর রাখা হবে। টেস্টে যতই তাঁরা ফর্ম হাতড়ে বেড়ান না কেন, পঞ্চাশ ওভারের ফরম্যাটে তার প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করা হচ্ছে। আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যদি রান পান দু’জনে তবে আন্তর্জাতিক কেরিয়ার দীর্ঘায়িত হবে নিঃসন্দেহে। তখন টেস্ট থেকে ছেঁটে ফেলার প্রক্রিয়াও স্থগিত থাকবে অনির্দিষ্টকালের জন্য। কিন্তু রোহিত-বিরাট যদি মিনি বিশ্বকাপে দলকে ডোবান, তাহলে মুশকিল।