সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ
মাধ্যমিকে ভালো নম্বর পাওয়া পড়ুয়াদের উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার প্রবণতা বেশি থাকে। তবে সবাই যে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়, তেমন কিন্তু নয়। অনেকেই ভালোবেসে বিজ্ঞান নিয়ে পড়ে, আবার অনেকে ভালো নম্বর পেয়ে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে। এদের জন্য স্নাতকস্তরে রয়েছে বেশ কিছু মনোগ্রাহী বিষয়। যেগুলি নিয়ে পড়লে কাজের সুযোগও অনেক বেশি থাকে। এর মধ্যে রয়েছে— ১) বিএসসি ইন অ্যানিমেশন অ্যান্ড ফিল্ম মেকিং, ২) বিএসসি ইন গেমিং অ্যান্ড মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট ও ৩) বিএসসি ইন ফরেন্সিক সায়েন্স।
বিষয়গুলি এ রাজ্যের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে পড়ানো হয়ে থাকে। মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি থেকে পড়ার সুযোগ রয়েছে এই কোর্সগুলিতে। এখানে ভর্তির জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষায় বিজ্ঞান নিয়ে ন্যূনতম ৪৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করতে হবে। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব প্রবেশিকা পরীক্ষা ‘CET’ পাশ করতে হবে। প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ মিলবে।
এই কোর্সগুলি সম্পর্কে সাধারণভাবে যেটুকু বলা যায়—
বিএসসি ইন অ্যানিমেশন অ্যান্ড ফিল্ম মেকিং
ফিল্ম মেকিংয়ের বেসিক কোর্স বলা যায় বিএসসি ইন অ্যানিমেশন অ্যান্ড ফিল্ম মেকিং কোর্সকে। এর মধ্যে রয়েছে মাল্টিমিডিয়া, অ্যানিমেশন ও গেমিং কোর্স। ফিল্ম মেকিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়— স্ক্রিনপ্লে রাইটিং, ক্যামেরা অপারেশন, প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট, ডিরেকশন, এডিটিং ও সাউন্ড ডিজাইনের টেকনিক্যাল ও ক্রিয়েটিভ কম্পোনেন্টসগুলি নিয়ে আলোচনা করা হয় এই বিষয়ে। অ্যানিমেশন নিয়ে যেমন হাতেকলমে শেখানো হয়, আবার থিওরির দিকটিও বিশদে জানানো হয়।
ক্লাসিক্যাল অ্যানিমেশন ও ডিজিটাল অ্যানিমেশন দু’টি বিষয়েই সম্যক ধারণা জন্মায় বলে এই কোর্স শেষে অনেকেই অ্যানিমশনকে কেরিয়ার হিসাবে নিয়ে থাকে। আবার ফিল্ম, টেলিভিশন ও অ্যানিমেশন ইন্ডাস্ট্রিতে প্রতিষ্ঠা পেতেও সুবিধা হয়।
কোর্স শেষে কাজের সুযোগ রয়েছে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, গেমিং ইন্ডাস্ট্রি, নিউজ ও মিডিয়া, ফোটোগ্রাফি ও ওয়েবসাইট ডেভেলপিং প্রতিষ্ঠানে। এসব জায়গায় থ্রিডি অ্যানিমেশন আর্টিস্ট, অ্যানিমেশন আর্টিস্ট, অ্যানিমেশন কাউন্সিলর, অ্যানিমেশন ট্রেনার, ফ্লাশ আর্টিস্ট, সেলস কাউন্সিলরের মতো কাজ মেলে।
বিএসসি ইন গেমিং অ্যান্ড মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট
গেমিং অ্যান্ড মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট কোর্সটি যে কোনও আইটি কোর্সের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে। এই কোর্সের মধ্যে রয়েছে গেম ফিজিক্স, ম্যাথামেটিক্স, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, অ্যানড্রয়েড ও গেম ডেভেলপমেন্ট। গেম ডিজাইনিং ও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে বিস্তারিতভাবে জানা যায় এই কোর্স থেকে।
এই কোর্স নিয়ে পড়াশোনা করলে কাজের সুযোগ মেলে কম্পিউটার প্রোগ্রামার, কম্পিউটার গেম ডিজাইনার হিসাবে বিভিন্ন আইটি কোম্পানিতে। বিদেশেও কাজের সুযোগ মেলে।
বিএসসি ইন ফরেন্সিক সায়েন্স
বিষয়টির নাম শুনলেই গোয়েন্দার কাজ মনে হয়। বিভিন্ন গল্প, সিনেমায় হামেশাই ফরেন্সিক কথাটি আসে। আবার খবরের কাগজেও ফরেন্সিক কথাটি আসে। কোন অপরাধমূলক ঘটনা ঘটলেই ফরেন্সিক ডিপার্টমেন্টের ডাক পড়ে। কখনও রক্তের দাগ দেখে, কখনও আঙুলের ছাপ দেখে বা মোবাইল-ল্যাপটপ ঘেঁটে অপরাধের কিনারা করা ফরেন্সিকের কাজ। এছাড়াও নানান পদ্ধতি আছে অপরাধীকে সামনে নিয়ে আসার। ফরেন্সিক পরীক্ষা এবং প্রমাণ যেমন অপরাধীকে খুঁজতে সাহায্য করে আবার বহু নির্দোষ মানুষকে বাঁচিয়েও দেয়। এই প্রমাণ সংগ্রহের কারণেই বিষয়টি আবার আইনের কাছাকাছি চলে আসে।
এই বিষয়টি নিয়ে পড়ার জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল স্তরে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ম্যাথ, স্ট্যাটিস্টিক্স, বায়োলজি, বিজনেস ম্যানেজমেন্ট, কম্পিউটার সায়েন্সের মতো বিষয়গুলি থাকতে হবে।
ফরেন্সিক সায়েন্সের মধ্যে থাকে ফরেন্সিক প্যাথোলজি, সাইকিয়াট্রি, সাইকোলজি, ফরেন্সিক মেডিসিন।
যাদের কোন ঘটনা বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা বেশি, সঠিকভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারে এবং বেশ কয়েক ঘণ্টা একনাগারে কাজ করার ক্ষমতা রয়েছে— এমন শিক্ষার্থীরা ফরেন্সিক সায়েন্স নিয়ে পড়তে পারে।
বিএসসি ইন ফরেন্সিক সায়েন্স নিয়ে পড়লে হওয়া যায় ইনভেস্টিগেশন অফিসার, ফরেন্সিক অডিটর, ফরেন্সিক সায়েন্টিস্ট, ক্রাইম রিপোর্টার। এছাড়াও অ্যানালিস্ট, লিগাল কাউন্সিলর, ফরেন্সিক এক্সপার্ট সহ বিভিন্ন কাজের সুযোগ পাওয়া যায়।
বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করা হবে: মৌলনা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, এনএইচ-১২, সিমহাট, হরিণঘাটা, নদীয়া– ৭৪১২৪৯, দূরভাষ: (০৩৩) ২৩২১০৭৩১ / ১৩২, https://makautwb.ac.in/