সপরিবারে তীর্থ ভ্রমণের সম্ভাবনা, ৪৫ ঊর্ধ্বে যাঁদের সুগার ও প্রেশার আছে তাঁরা একটু বেশি সতর্ক ... বিশদ
রূপান্তর
তনুশ্রীর অভিনয় জীবনের ১৪ বছর অতিক্রান্ত। এর আগে যে ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তার সবটাই নেগেটিভ। কিন্তু ‘নিম ফুলের মধু’ ধারাবাহিকের ললিতা এক মমতাময়ী, স্নেহময়ী চরিত্র। এই রূপান্তর তাঁর জীবনে একদিনে আসেনি। ‘ললিতা’ চরিত্রের মাধ্যমে তাঁকে দর্শক যেভাবে স্নেহময়ী রূপে গ্রহণ করেছেন, তাতে এরপর অন্য ধরনের চরিত্র করতে গেলে তাঁকে একটু সমঝে চলতে হবে বলেই জানালেন। তনুশ্রীর কথায়, ‘এই ধারাবাহিক আমার কাছে একটা আবেগ, একটা লং জার্নি।’
ললিতা ভার্সেস তনুশ্রী
প্রায় দু’বছর ধরে চলছে ‘নিম ফুলের মধু’ ধারাবাহিক। এই দীর্ঘ যাত্রাপথে ললিতার জীবনেও নানান ওঠা পড়া দেখানো হয়েছে। ললিতার সঙ্গে ব্যক্তি তনুশ্রীরও একটা জার্নি চলেছে। তনুশ্রীর কথায়, ‘ললিতা যেভাবে হাসে, কাঁদে, অনুভূতি প্রকাশ করে, কোথাও চরিত্রের সঙ্গে আমার নিজেরও কিছুটা মিল রয়েছে, অমিলও রয়েছে। ললিতা আমার কাছে একটা ইমোশন। ও সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চলতে ভালোবাসে, আমিও। একা থাকতে একদম ভালোবাসি না। ললিতা ভীষণ আবেগপ্রবণ, আমিও তাই। এর আগে এত জনপ্রিয়তা আমার অভিনীত কোনও চরিত্র পায়নি। সেজন্য নির্মাতাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’
প্রাপ্তি
অভিনয় জীবনের সবটাই প্রাপ্তি বলে মনে করেন তনুশ্রী। সেটা ভালো অভিজ্ঞতা হোক, অথবা খারাপ— সেটাও তাঁর প্রাপ্তিই। ‘ভালো অভিজ্ঞতা সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। আর খারাপ অভিজ্ঞতা সতর্ক করে’, বললেন অভিনেত্রী।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে কাস্টিং
সোশ্যাল মিডিয়ায় তনুশ্রীর তৈরি নানা রিলস খুবই জনপ্রিয়। তিনি সামাজিক মাধ্যমে ভীষণ সক্রিয়। এ বিষয়ে স্পষ্ট বললেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং রিলস হোক, বক্তব্য হোক, লেখা হোক অথবা কোনও ছবি পোস্ট— সবটাই আমার ভালো লাগে। অনুরাগীদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকে। তাদের মতামতকেও প্রাধান্য দিই। তবে তার মধ্যে থেকে যেটা গ্রহণযোগ্য সেটাই শুধু গ্রহণ করি।’ সোশ্যাল মিডিয়ার ফলোয়ার সংখ্যা দেখে নাকি এখন কাস্ট করা হয়? তনুশ্রীর উত্তর, ‘কাজটাই তো কমার্শিয়াল, একটা প্রোডাকশন হাউজ নিজেদের ব্র্যান্ডিং-এর প্রয়োজনে নিজেদের পছন্দমতো আর্টিস্ট নির্বাচন করতেই পারে।’