সপরিবারে তীর্থ ভ্রমণের সম্ভাবনা, ৪৫ ঊর্ধ্বে যাঁদের সুগার ও প্রেশার আছে তাঁরা একটু বেশি সতর্ক ... বিশদ
রামনগর-১ ব্লকের উপকূলবর্তী মির্জাপুর স্কুল, জাতিমাটি স্কুল, দীঘা দেবেন্দ্রলাল স্কুল, মণ্ডলা সাইক্লোন শেল্টারেও আশপাশের এলাকা থেকে প্রচুর মানুষজন আশ্রয় নেন। একইভাবে গোবিন্দবসান স্কুল, দীঘা বিদ্যাভবন, মোহনা সংলগ্ন মাল্টি পারপাস সাইক্লোন শেল্টারেও বহু মানুষজন উঠে আসেন। সন্ধ্যা গড়িয়ে যাওয়ার পরও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে অনেকেই নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে যান। চাঁদপুর সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেওয়া বংশীবদন মাঝি, অনিন্দ্য মাঝি, ঝাড়েশ্বর জানা, গোবিন্দ কর বলেন, সাইক্লোন ল্যান্ডফলের সময় যত এগিয়েছে, স্নায়ুর চাপ তত বেড়েছে। প্রথমে বাড়িতেই থেকে যাব বলে ঠিক করেছিলাম। কিন্তু, ভয় থেকেই সাইক্লোন শেল্টারে এসেছি।
সন্ধ্যা ৬টা মধ্যে রামনগর-২ ব্লকে ৫৫টি ত্রাণশিবিরে চার হাজার মানুষ আশ্রয় নেন। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আশ্রয় নেওয়া মানুষজনের সংখ্যা বেড়েছে। বিডিও অসীম মণ্ডল এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনুপ গিরি বিভিন্ন শিবির পরিদর্শন করেন। বিডিও বলেন, চার হাজার মানুষ বিভিন্ন স্কুল এবং সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছেন।
সকাল থেকেই গোটা উপকূলের আকাশ মেঘে ঢাকা ছিল। মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হয়েছে। ডানা সাইক্লোনের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল ছিল। উত্তাল সমুদ্র দেখার জন্য অনেকেই বাইক, চারচাকা নিয়ে মেরিন ড্রাইভে বেরিয়ে পড়েন। দীঘা মোহনা থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভে দাঁড়িয়ে অনেকেই উত্তাল সমুদ্রকে ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে সেলফিও তোলেন। আসলে দীঘা, মন্দারমণিতে অঘোষিত বন্ধের চেহারা ছিল। ওল্ড দীঘা, নিউ দীঘার প্রতিটি ঘাটে যাওয়ার রাস্তায় বাঁশের ব্যারিকেড বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সেখানে মোতায়েন ছিল পুলিস। এরমধ্যেই বিভিন্ন অলিগলি দিয়ে দু’-চারজন সি-বিচের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করেন। পুলিস ও নুলিয়ারা হুইসল বাজালেই তাঁরা দৌড়ে পালিয়েছেন। দীঘার অধিকাংশ হোটেল বন্ধ। সি-বিচ একেবারে শুনশান। এনডিআরএফ, পুলিস ও সিভিল ডিফেন্স ছাড়া সাধারণের প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ ছিল।
দীঘায় অত্যন্ত কড়াকড়ি থাকলেও তাজপুরের ছবিটা সেরকম ছিল না। সেই সুযোগে তাজপুরের কাছে মেরিন ড্রাইভের রাস্তায় অনেক মানুষজনকে দেখা যায়। তাঁরা উথাল-পাথাল সমুদ্রের ছবি তোলেন। বাইক ও প্রাইভেট গাড়িতে মেরিন ড্রাইভে জয় রাইড সারেন। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী বলেন, সি-বিচে যাওয়া পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগেই সব হোটেল খালি করা হয়। সাইক্লোন সতর্কতায় আমরা কোনওরকম ঝুঁকি নিইনি। - বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দীঘায় উত্তাল সমুদ্র। নিজস্ব চিত্র