সপরিবারে তীর্থ ভ্রমণের সম্ভাবনা, ৪৫ ঊর্ধ্বে যাঁদের সুগার ও প্রেশার আছে তাঁরা একটু বেশি সতর্ক ... বিশদ
বিটি রোডের উপর ডানলপগামী ফ্ল্যাঙ্কে লকগেট ক্রসিংয়ের আগে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ট্যাক্সির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৫ বছরের খুদে স্কুল পড়ুয়া মিশিকা সাউ ও তার বাবা অমিতকুমার সাউয়ের। দু’জনকে ধাক্কা মেরেই সামনের ক্রসিং থেকে ইউ টার্ন নিয়ে চম্পট দেয় চালক। ঘটনাস্থল থেকে ৪ কিলোমিটার গিয়ে ঘুরে এসে কুমোরটুলি পার্কের কাছে একটি পরিত্যক্ত গোডাউনের সামনে ট্যাক্সিটিকে পার্ক করে অভিযুক্ত। পুলিসের নজর এড়াতে সেটিকে কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয় সে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে গাড়িটিকে চিহ্নিত করে উদ্ধার করে চিৎপুর থানার পুলিস।
ঘটনার তদন্তভার নিয়েই বাজেয়াপ্ত ট্যাক্সিটিকে খতিয়ে দেখে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখা। দুঁদে গোয়েন্দাদের নজরে আসে চালকের সিট বেল্টের অবস্থান। সেটির হুক লক করা ছিল। সেখানেই তদন্তকারীদের সন্দেহ হয় চালক যদি সিট বেল্ট পরে থাকত, তাহলে গাড়িটি কুমোরটুলিতে পার্ক করে নামার সময় সিট বেল্ট খুলত সে। নামার পর সিট বেল্ট কেউ লক করে না।
সেই সন্দেহের বশেই ধৃত ট্যাক্সি চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা। পুলিসের চাপের সামনে ভেঙে পড়ে জোড়া খুনে অভিযুক্ত সাহেব। সূত্রের খবর, পুলিসের কাছে সে স্বীকার করেছে, দুর্ঘটনার সময় সিট বেল্ট পরা অবস্থায় ছিল না। পুলিসের অনুমান, ভোরবেলা রাস্তায় পুলিসের সংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম থাকে। সেই সুযোগেই নিয়মবিধি লঙ্ঘন করে গাড়ি চালাচ্ছিল সে। ট্রাফিক বিভাগের ফেটাল স্কোয়াডের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিট বেল্ট পরলে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হতো। গাড়ি চালক স্টিয়ারিংয়ের উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারালেও ব্রেক কষার জন্য ৩০ মিটার জায়গা পেয়েছিল। সিট বেল্ট না থাকার জন্য দেহের ভারসাম্য হারায় চালক। তদন্তকারীদের অনুমান, সেকারণেই ব্রেক কষতে পারেনি সাহেব। শুধু তাই নয়, স্টিয়ারিংটিকে নিয়ন্ত্রণ করতেও ব্যর্থ হয় সে।