সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
জয় সাহিত্যের ছাত্র। পরবর্তীতে অভিনয়ে ডিপ্লোমা করেন দিল্লিতে। থিয়েটার স্টাডিজে পোস্ট গ্র্যাজুয়েটের পর জয়ের কর্মজগৎ রাজধানীর সীমানা ছাড়িয়ে মুম্বইতে ঠিকানা খুঁজে নিল। তবুও কলকাতা আজও হাতছানি দেয় জয়কে। ছবি, সিরিজের কাজ তো আছেই। গরম পড়লেই মনটা কেমন নরম হয়ে যায় দমদমের দামাল ছেলের। ‘আমি কলকাতার গরমটাকে আজও ছোটবেলার ছুটির মেজাজে উপভোগ করি। বাবার বদলির চাকরি ছিল। ফলে ছুটিতে আমরা কলকাতা আসতাম। এখন প্রতি বছর গ্রীষ্মে হয়তো হয় না, তবে সুযোগ পেলেই ফুচকা, আইসক্রিম, গাছ থেকে আম পেড়ে খাওয়ার অ্যাডভেঞ্চার কিংবা ছাদ জুড়ে ভাই-বোনেরা মিলে আড্ডা কোনওভাবেই মিস করতে রাজি নই আমি’, জয়ের গলায় শিশুর সারল্য।
অভিনয় নয়, পেশাগত জীবনে প্রবেশ স্কুলে ‘থিয়েটার এডুকেশন’-এর শিক্ষকতা দিয়ে। সেটা নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি। টিভি মানুষের ড্রাইংরুমে চলে এসেছে। ‘তখন বিকল্প বিনোদনের হাতছানি থাকলেও টিভির সম্প্রচারের সময় ছিল সীমিত। এখন একশোটা চ্যানেল। যখন খুশি বদলে নেওয়া যায়। তাতে অনুভূতিগুলো ধৈর্য হারিয়ে ফেলছে। কোনও কিছুই একটানা অনেকক্ষণ দেখতে বা শুনতে ইচ্ছে করে না। এটাই এখন প্রজন্মের কাছে মস্ত বড় সঙ্কট’, জয়ের গলায় শিক্ষক সুলভ উদ্বেগ। সময়ের অশনি সংকেতকেই মনে করিয়ে দেন তিনি। তবে নিজের সন্তানকে নিয়ে অতটা দুশ্চিন্তা করতে হয়নি গোবিন্দ নিহালানি পরিচালিত ‘হাজার চুরাশির মা’-এর ব্রতী চ্যাটার্জিকে। জয়ের এমবিএ পাশ চব্বিশ বছরের ছেলের দৈনন্দিন যাপন এই মুহূর্তে মোবাইল নির্ভর হলেও, ‘ও যে প্রজন্মের সন্তান তখন ছোটবেলায় হাতে মোবাইল ধরিয়ে দিতে হয়নি’, জয়ের কথায় স্বস্তির স্বর। তবে বাস্তববাদী অভিনেতা অকপটে বলেন, ‘সবকিছুরই পজিটিভ ও নেগেটিভ, দুই দিকই আছে। দুটোকে সঙ্গে নিয়েই চলতে হবে। অর্থাৎ ভারসাম্য।’
কাজের ক্ষেত্রেও বাণিজ্যিক ছবি ও ভিন্ন ধারার সিনেমার মধ্যে সামঞ্জস্য রেখে চলারই পক্ষপাতী জয়। যার বড় অংশ দখল করে আছে মঞ্চ, নাটক। ভারসাম্যই এই সর্বভারতীয় বাঙালি অভিনেতার সাফল্যে অন্যতম অভিমুখ।
ছবি: দীপেশ মুখোপাধ্যায়