সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
কোন গল্পের উপর ভিত্তি করে তৈরি এই সিরিজ?
এটা বলা ভীষণ কঠিন। আসলে কোনও একটি গল্পের উপর ভিত্তি করে ছবিটি তৈরি করা হয়নি। অনেকগুলি বাস্তব ঘটনা থেকে সূত্র নিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
‘টুয়েলভথ ফেল’-এর এত সাফল্যের পর এমন একটি চরিত্র করতে ভয় হয়নি?
অনেকেই আমাকে এই চরিত্রটি করতে বারণ করেছিলেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, বর্তমানে আমার একটি কমার্শিয়াল ভ্যালু রয়েছে। তাই এই চরিত্রটি করা উচিত নয়। তবে আমার মধ্যে একটা জেদ কাজ করেছিল। ভেবেছিলাম, অফার যখন পেয়েছি কাজটা আমি করবই। আমি এখন অনেক বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে পারি। এখন যদি নিজেকে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করি, তাহলে কবে করব? এর আগে এমন মনরোগীর চরিত্রে অভিনয় করিনি। তাই আদিত্যের (নিম্বলকর, পরিচালক) সঙ্গে কাজটি করতে চেয়েছিলাম।
এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে কোনও রেফারেন্স কাজে লাগিয়েছেন?
বাস্তব জীবনে সিরিয়াল কিলারদের জীবনের উপর বই পড়েছি। আসলে এই ছবিটি এমনই বেশ কয়েকটি ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরি। ফলে ওই গল্পগুলি আমাকে সাহায্য করেছে। আদিত্যর সঙ্গে অনেকবার আলোচনা করেছি। আমি বিশ্বাস করি, অডিও ভিস্যুয়াল মাধ্যম মানুষকে সহজেই প্রভাবিত করতে পারে। তাই এমন চরিত্র টানা দেখলে একঘেয়ে লাগাটা স্বাভাবিক। কয়েকটি ইন্টারেস্টিং বিষয় চরিত্রটির সঙ্গে যোগ করতে চেষ্টা করেছি। সিরিয়াল কিলারকে তো বাইরে থেকে দেখে বোঝা যায় না। তবে এই ধরনের মানুষের মনস্তাত্ত্বিক গঠন ও মানসিক স্বাস্থ্যও আলাদা। এই বিষয় সম্পর্কেও পড়াশোনা করতে হয়েছে। তারা কেন এই ধরনের নৃশংস কাজ করে, সেটা বোঝার চেষ্টা করেছি।
এই সিনেমা আপনাকে প্রভাবিত করেছে?
হ্যাঁ, করেছে। আমি যখন শ্যুট করেছিলাম, তখনও আমার ছেলের জন্ম হয়নি। তবে ওর জন্মের পর এই বিষয়টা আমাকে অন্যভাবে ভাবিয়েছে। আমি সবসময় চেষ্টা করেছি ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবন আলাদা রাখার। তাই পেশাজীবনের প্রভাব আমার ব্যক্তিজীবনে পড়েনি।
আপনার মনস্তত্ত্বকে কোনওভাবে প্রভাবিত করেছে?
শ্যুটিং চলাকালীন আমি ঠিক মতো ঘুমাতে পারতাম না। ভীষণ বিরক্ত হয়ে থাকতাম।
আপনি যে চরিত্রটিতে অভিনয় করেছেন, তার প্রতি সহানুভূতি তৈরি হয়নি?
না। সহানুভূতি তৈরি করতে চাইনি। আমি আর অভিনীত চরিত্রটি তো এক নই। ফলে দু’টিকে এক করার কোনও মানেই হয় না। এই ছবিতে আমি ভিলেন। ফলে আমি সেভাবেই অভিনয় করেছি, যাতে দর্শক আমাকে দেখে ঘেন্না করেন।
‘টুয়েলভথ ফেল’-এর পর আপনার জীবনে কোনও পরিবর্তন হল?
হ্যাঁ, খানিক পরিবর্তন তো হয়েছে। অনেকেই আমাকে চিনেছেন, যাঁরা ‘টুয়েলভথ ফেল’-এর আগে কখনও আমার কাজ দেখেননি। তাঁরা আগের কাজগুলি দেখেছেন, আমার সঙ্গে আলাপ করতে চেয়েছেন।
এমন কোনও চরিত্র রয়েছে, যেটিতে আপনি অভিনয় করতে চান না?
না। আমি নিজেকে এক্সপ্লোর করতে ভালোবাসি। একটি চরিত্রে সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না।