পেশাগত উচ্চবিদ্যার শিক্ষায় শুভ। সাহিত্যচর্চায় মানসিক আনন্দ। কর্মোন্নতি ও আয় বৃদ্ধির যোগ। ... বিশদ
বলিউডে রোশন পরিবারের কন্যা তথা হৃতিক রোশনের বোন পশমিনা রোশনের বলিউডে সদ্য অভিষেক হল। নিপুণ অবিনাশ ধর্মাধিকারী পরিচালিত ছবি ‘ঈশক ভিশক রিবাউন্ড’-এর অন্যতম নায়িকা তিনি। ‘পশমিনা’, নামটা খুবই অন্যরকম। কার দেওয়া নাম? ঝকঝকে হাসি হেসে বিটাউনের এই নবাগতা অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার দাদির দেওয়া নাম এটা। হৃতিক, সুনয়না, ঈশান এইসব ওঁর দেওয়া নাম। নাতি-নাতনিদের সুন্দর নাম রেখেছেন। কিন্তু ছেলেদের রাকেশ, রাজেশ-এর মতো সাধারণ নাম রেখেছেন।’
‘ঈশক ভিশক রিবাউন্ড’ ছবিতে একঝাঁক নতুন অভিনেতা কাজ করেছেন। সেটের পরিবেশের প্রসঙ্গে পশমিনা বলেন, ‘শ্যুটিং শুরু করার আগে আমরা ওয়ার্কশপ করেছিলাম। তাই আমাদের মধ্যে বন্ধুত্ব আরও গভীর হয়েছিল। আমাদের মধ্যে খুব সুন্দর বোঝাপড়া তৈরি হয়েছিল।’
বলিউডের খ্যাতনামা সঙ্গীত পরিচালক রাজেশ রোশনের কন্যা পশমিনা সম্পর্কে হৃতিকের তুতো বোন। ‘রোশন’ পরিবারের খ্যাতির চাপ কি নিতে হয়েছে? পশমিনার উত্তর, ‘আমি একে চাপ বলে মনে করছি না। মনপ্রাণ দিয়ে যত দিন পারব কাজ করে যাব।’ স্বজনপোষণ নিয়ে বলিউডে বিতর্ক বহুদিনের। ‘রোশন’ পরিবারের সদস্য হওয়ার কারণেই কি এই সুযোগ পেলেন? একটু ঘুরিয়ে অভিনেত্রী উত্তর দিলেন, ‘পরিবারের সদস্যদের থেকে সবসময় নানা পরামর্শ পেয়েছি’।
বড় দাদা এবং ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র হিসেবে হৃতিক নাকি সবসময় তাঁর অভিনয়ের ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেন। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি সবসময় ডুগ্গু ভাইয়াকে (হৃতিক) আমার ছবির ক্লিপিংস দেখাতাম, আর উনি মতামত জানাতেন। আমি বলেছিলাম আমার প্রশংসা না করে আমার ভুল ত্রুটিগুলো ধরিয়ে দিন। উনি আমাকে গল্ফ শেখার কথা বলেছিলেন। এই ছবির জন্য যখন অডিশন দিয়েছিলাম তখন জানলাম যে আমার চরিত্রটি এক গল্ফ খেলোয়াড়ের। তাই জীবনে কোনও কিছু ফেলা যায় না।’
কথায় কথায় উঠে আসে হৃতিক, পশমিনার দাদি ইরা রোশনের কথা। দাদি বাঙালি। তাই দাদির হাত ধরে বাঙালি রসনার সঙ্গে কতটা পরিচয় হয়েছে? একটু আবেগপ্রবণ হয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘দাদির হাতের সর্ষে-মাছ খুব প্রিয়। উনি প্রায়ই বানাতেন। আর আমাদের বাড়ির ডিনার বাঙালি মিষ্টি ছাড়া সম্পূর্ণ হয় না। আমার বাবা বাঙালি মিষ্টি খেতে দারুণ ভালোবাসেন। দাদি আমাকে একটা ঘুমপাড়ানি বাংলা গান শোনাতেন। (একটু ভেবে) গানের কথাগুলো ঠিক মনে পড়ছে না।’