চোখের সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। কর্মস্থলে অতিরিক্ত কাজের চাপ। আর্থিক দিক শুভ। ... বিশদ
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জ্বলছে মণিপুর। কিন্তু সংসদে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর অভিভাষণে মণিপুর সঙ্কটের কোনও উল্লেখই ছিল না। সরকারের এই নীরবতাকেই তুলোধোনা করলেন ইনার মণিপুর আসনের সাংসদ। আকোইজামের তোপ, ‘উত্তর-পূর্বাঞ্চলে, বিশেষ করে মণিপুরের ঘটনাবলিতে আপনাদের যে কিছুই আসে যায় না, এটা বোঝাতেই কি এই নীরবতা?’ রাষ্ট্রপতির ভাষণে মণিপুরের উল্লেখ না থাকা নিয়ে মোদি সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেন এই কংগ্রেস সাংসদ। বলেন, ‘এটিকে নিছক অনুপস্থিতি বলা ঠিক হবে না। এই সরকারের রাষ্ট্র চেতানায় যে মানুষই বাদ পড়ে গিয়েছে, সেকথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে এই ঘটনা। গত এক বছর ধরে ত্রাণ শিবিরগুলিতে দুর্বিষহ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন ৬০ হাজারের বেশি মানুষ। ৬০ হাজার গৃহহীন মানুষ কোনও মজার কথা নয়। দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গৃহযুদ্ধের মতো অবস্থা। এলাকার অধিকার রক্ষায় অস্ত্র হাতে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। এক বছর ধরে এই ট্র্যাজেডি সত্ত্বেও ভারত সরকার নীরব দর্শক।’ মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সুর আরও চড়িয়ে আকোইজাম বলেন, ‘প্রায় মধ্যরাতে কার্যত ফাঁকা সদনে আমাকে বলার সময় দেওয়া হয়েছে দেখে আবাক লাগছে।’ ইনার মণিপুর কেন্দ্রের সাংসদ বলেন, ‘রাজ্যের প্রতিটি বর্গ সেন্টিমিটারে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। তা সত্ত্বেও কেন ৬০ হাজার মানুষকে গৃহহীন অবস্থায় কাটাতে হচ্ছে? কীভাবে হাজার হাজার গ্রাম ধ্বংস হয়ে গেল? রাষ্ট্রপতির ভাষণে এই সঙ্কটের কোনও উল্লেখ রইল না। মণিপুরের এই ট্র্যাজেডি সত্ত্বেও বিজেপির মতো একটি জাতীয়তাবাদী দল নীরব। দেখে খারাপই লাগছে।’