শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ
স্থানীয় মহিলাদের অভিযোগ, বারবার পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে ভেটের সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের বলেও এই রাস্তা সংস্কার হয়নি। এই উদাসীনতার কারণে রাস্তাটি বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। পিচ উঠে গিয়ে জায়গায় জায়গায় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। এক জায়গায় রাস্তার অনেকটা অংশ হাঁটুসমান গর্ত হয়ে গিয়েছে। আর এই রাস্তা দিয়ে অবাধে সারাক্ষণ বেপরোয়াভাবে ডাম্পার চলাচল। এতে রাস্তাটি আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাস্তা সংস্কারের যেমন উদ্যোগ নেই সেরকম ডাম্পারের এই অবাধ চলাচল নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও কোনও উদ্যোগ দেখা যায় না।
গার্গী চট্টোপাধ্যায়, গীতালী দাস বলেন, এই রাস্তা দিয়ে বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যেতে হয়। কিন্তু বৃষ্টির জল জমে রাস্তা বিপজ্জনক হয়ে রয়েছে। বাচ্চাদের বাড়িতে রেখে যেতেও ভয় হয়। এরমধ্যে একটি বাচ্চা এই জলে পড়ে গিয়েছিল। এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা যায় না। প্রতি মুহূর্তেই দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে। হাঁটুসমান জলে টোটো নিয়ে যেতে গেলে উল্টে যায়। তাই ১০ মিনিটের রাস্তা ঘুর পথে যেতে ৩০ মিনিট লাগে। দ্বিগুণ টোটো ভাড়া দিতে হয়। এই যন্ত্রণা আর সহ্য করতে না পেরে এদিন আমরা হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য হই।
এখবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য গীতা রায়ের স্বামী ঘটনাস্থলে এসে তাঁর স্ত্রীর হয়ে বাসিন্দাদের আশ্বাস দেন এদিনের মধ্যেই রাস্তার গর্ত বুঝিয়ে সংস্কারের কাজ শুরু করার ব্যবস্থা করা হবে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে অবরোধ বিক্ষোভ চলার পর এই আশ্বাসে মহিলারা অবরোধ তুলে নেন। দুপুরের পর দেখা যায় প্রতিশ্রুতি মতো বালি পাথর ফেলে রাস্তার গর্ত ভরাটের করা শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েত সদস্য গীতা রায় বলেন, বর্ষার জন্য কাজ আটকে ছিল। তবে যে পরিস্থিতি হয়েছে তাতে মানুষের চলাচলের উপযোগী করার জন্য জরুরিভিত্তিতে কিছু কাজ এদিন শুরু করা হয়েছে। বর্ষা চলে গেলে রাস্তাটি স্থায়ীভাবে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।