শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুব্বেশ্বরী কোলিয়ারি এলাকার জমিগুলি থেকে কয়লা উত্তোলনের জন্য জমি নিয়েছিল। জমি নেওয়ার সময় কর্তৃপক্ষ জমিদাতাদের জমির ন্যায্য মূল্য, ক্ষতিপূরণ এবং চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। অভিযোগ, কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষ জমির জন্য কাগজপত্র নিলেও তারপর কোনও কাজ করেননি। কর্তৃপক্ষ যে সব জমিদাতাদের কাছ থেকে জমি নিয়েছেন, তার রেজিস্ট্রি পর্যন্ত করানো হয়নি। পাশাপাশি জমির ন্যায্য মূল্য, ক্ষতিপূরণ ও চাকরি দেওয়ার বিষয়টিও এড়িয়ে গিয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে এলাকার মানুষ একজোট হয়ে ‘জমিহারা’ নামে একটি কমিটি গঠন করেছে। বর্তমানে সেই কমিটি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। জমিহারা কমিটির অভিযোগ, ইসিএল কর্তৃপক্ষ তাদের কাছ থেকে ২৩ একর জমি নিয়েছে। কিন্তু কোনও রকম ক্ষতিপূরণ দেয়নি। জমি রেজিস্ট্রিও করেনি। অথচ সেই জমি থেকে অবাধে কয়লা তোলা হচ্ছে।
বিক্ষোভে শামিল প্রণব কলাই, রামজীবন দাস, প্রদীপ তন্তুবায় বলেন, কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষ আমাদের এলাকার জমিগুলি থেকে কয়লা উত্তোলন করবে বলে জানিয়েছিল। তার জন্য আমাদের কাছ থেকে জমি নেওয়া হয়েছিল। কোলিয়ারির কথা মতো আমরা জমির সমস্ত কাগজপত্র জমা করেছিলাম। কিন্তু তারপর ক্ষতিপূরণ, চাকরি দেওয়া তো দূর, জমির ন্যায্য মূল্য পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার জানানো হয়েছে। তারপরেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। তাই এদিন বাধ্য হয়ে আমরা সকল জমিহারা সদস্যরা কোলিয়ারি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষ কিছুই বলতে চায়নি। তাদের এক সদস্য বলেন, যাঁদের কাছ থেকে জমি নেওয়া হয়েছে, তাদের কাছ থেকে ১৫ দিন সময় চাওয়া হয়েছে। সমস্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।