চোখের সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। কর্মস্থলে অতিরিক্ত কাজের চাপ। আর্থিক দিক শুভ। ... বিশদ
প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই এদিন সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের ৮ নম্বর বাহিন অঞ্চলে প্রচার করেন বামফ্রন্ট সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী মোহিত সেনগুপ্ত। বাংলা-বিহার সীমানায় নাগর নদীর পারে বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতে ৩২ টি সংসদ আছে। কংগ্রেসের রায়গঞ্জ ব্লক সভাপতি লিয়াকত আলি বলেন, সকালে থেকে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে আমরা বাহিন অঞ্চলের প্রত্যেকটি সংসদেই প্রচার করেছি। প্রার্থী মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, বৃষ্টির মধ্যেও যেভাবে আমাদের প্রচারে সাধারণ মানুষের সাড়া পেয়েছি, তা সত্যিই অসাধারণ। মানুষের এই উত্সাহ বলে দিচ্ছে, তাঁরা কী চাইছেন।
তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী এদিন সকালে প্রচার সারেন ৮ নম্বর বাহিন অঞ্চলে। বাহিনের দক্ষিণ লৌহজ গ্রামের বুথে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী সকালু দাস এদিন শতাধিক কর্মী, সমর্থক নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এরপর কৃষ্ণ উত্তর লৌহজ গ্রামে দলীয় কর্মীদের নিয়ে আয়োজিত সভায় উপস্থিত হন। সেখান থেকে বাহিন অঞ্চলের শংকরপুর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে চায়ের আসরে আড্ডা দেন তিনি। মধুপুর বুথে এদিন কৃষ্ণের হাত ধরে শতাধিক কর্মী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
বিকেলে রায়গঞ্জ শহরের সমস্ত ক্লাবের সদস্যদের নিয়ে বিধান মঞ্চে আয়োজিত নির্বাচনী সভায় অংশগ্রহণ করেন কৃষ্ণ। ১০ নম্বর মাড়াইকুরা অঞ্চলের নশরাতপুর কাটাবাড়ি এলাকার লোহার সমাজের বেশকিছু পরিবার বিভিন্ন দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করে। এদিন তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন কৃষ্ণ কল্যাণী।
রায়গঞ্জের সদ্য নির্বাচিত সাংসদ কার্তিক চন্দ্র পালকে নিয়েই এদিন দিনভর প্রচার করেন বিজেপি প্রার্থী মানস ঘোষ। এদিন তিনি রায়গঞ্জ শহরে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভোট প্রচার করেন। বাড়ি বাড়ি প্রচারের পাশাপাশি রায়গঞ্জের বিভিন্ন বাজারে গিয়ে মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করেন তিনি। কথা বলেন সাধারণ মানুষ, ক্রেতা, বিক্রেতাদের সঙ্গেও। এদিকে বিধানসভা উপ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছেছে রায়গঞ্জে। ইতিমধ্যে এই বিধানসভা কেন্দ্রের শহর এবং গ্রামাঞ্চলে কেন্দ্রীয় বাহিনী রুটমার্চ শুরু করেছে। রায়গঞ্জ পুলিস জেলার এসপি সানা আখতার বলেন, ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। বাহিনী রুটমার্চ করছে। প্রচারে জোটের প্রার্থী মোহিত সেনগুপ্ত। নিজস্ব চিত্র