চোখের সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। কর্মস্থলে অতিরিক্ত কাজের চাপ। আর্থিক দিক শুভ। ... বিশদ
এর আগে একাধিক মামলায় জামিন পেয়েছিলেন আরাবুল। কিন্তু এই খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত থাকায় জেলবন্দি থাকতে হচ্ছিল তাঁকে। এদিন জামিন মেলায় তিনি জেল থেকে মুক্তি পাবেন। তবে জামিনের শর্ত হিসাবে আদালত জানিয়েছে, বিচারপ্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত আরাবুলকে প্রতি রবিবার থানায় হাজিরা দিতে হবে। তিনি মৃতের বাড়ির ২০০ মিটারের মধ্যে প্রবেশ করতে পারবেন না। এছাড়াও আদালত জানিয়েছে, মামলার তথ্য প্রমাণ ও নথি নষ্ট করার জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কোনও চাপ তৈরি করতে পারবেন না আরাবুল। পাশাপাশি নিম্ন আদালতের অনুমতি ছাড়া বিজয়গঞ্জ থানা এলাকা ছেড়ে যেতে পারবেন না।
আইএসএফ কর্মী খুনের অভিযোগের পাশাপাশি সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলার মতো একাধিক অভিযোগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি আরাবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার পর নিম্ন আদালত চত্বরে অনেকেই বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অভিযোগগুলির প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানান আরাবুল। তাঁর হয়ে মামলায় সওয়াল করেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছিল ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন রায়দান করে আরাবুলের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল আদালত।
এদিকে, জামিনের খবর আসতেই আরাবুল অনুগামীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে। প্রায় পাঁচ মাস বাদে ঘরে ফিরতে চলেছেন ভাঙড়ের এই ‘তাজা’ নেতা। যদিও আরাবুলের জামিন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে এলাকায়। এক সময় যাঁরা আরাবুলের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন এবং তাঁর অনুগামী বলে পরিচিত ছিলেন, তাঁদের অনেকেই এখন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার শিবিরে ভিড়েছেন। তাঁদের কয়েকজনকে অবশ্য আরাবুলের জামিন প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। আরাবুলের ছেলের হাকিমুল ইসলাম বলেন, আদালতের রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। এর বেশি কিছু বলব না। জেলা পরিষদ সদস্য খাদিজা সরদার বলেন, পাঁচ মাস ধরে আমরা অপেক্ষায় ছিলাম, কবে এই দিনটি আসবে। আজ বুধবার আরাবুলদাকে জেল থেকে বাড়ি নিয়ে আসব, তারপর উৎসব হবে এখানে।
কিছুদিন আগে আরাবুলের বিরুদ্ধে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন শওকত। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তার পাল্টা কোনও প্রতিক্রিয়া আরাবুল দেন কি না, তার দিকেই তাকিয়ে আছে গোটা ভাঙড়। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, যেভাবে ভাঙড়ে এখন ক্যানিং পূর্বের বিধায়কের প্রভাব বিস্তার হয়েছে, তাতে আরাবুল কতটা নিজের পুরনো জমি ফিরে পাবেন, তা নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।