চোখের সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। কর্মস্থলে অতিরিক্ত কাজের চাপ। আর্থিক দিক শুভ। ... বিশদ
জেলায় অনাবৃষ্টির কারণে প্রতিবছর পাটচাষে ক্ষতি হয়। এবছরও অনিয়মিত ও কমবৃষ্টির কারণে ক্ষতির মুখে চাষিরা। ফলে চাষিদের বাঁচাতে পাটকে বাংলা শস্য বিমায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মুখ্য কৃষি অধিকর্তা প্রণব কুমার মুখ্যোপাধ্যায় বলেন, এবছর প্রথম দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পাটকে বাংলা শস্য বীমায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আমাদের টার্গেট ছিল মাত্র সাড়ে ৫ হাজার। কিন্তু নাম নথিভুক্ত করেছেন প্রায় ৪৩ হাজার চাষি। বৃষ্টি না হলে পাট চাষে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। সেজন্যই চাষিদের মধ্যে বিমা করার আগ্রহ বেশি দেখা যাচ্ছে।
জেলায় পাট একটি অর্থকরী ফসল হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এতদিন বাংলা শস্য বিমার আওতায় ছিল না। ২০১৯ সালে একবার পাটকে এই বিমার আওতায় আনা হয়। কিন্তু করোনার কারণে বন্ধ হয়ে যায়। ২০২৪ সালে ফের আবেদন করার সুযোগ পেয়েছেন চাষিরা। জেলায় এখনও পর্যন্ত বৃষ্টির ঘাটতি প্রায় ৪০ শতাংশ। অথচ পাট তোলার সময় এগিয়ে আসায় চিন্তায় চাষিরা। ক্ষতির সম্ভাবনা বাড়তে থাকায় চাষিরা দ্রুত নাম নথিভুক্ত করছেন।
বালুরঘাটের রাজুয়ার চাষি সম্পদ মণ্ডল বলেন, আমাদের এখানে তেমন বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। ফলে এ বছর পাট চাষ করে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিবার একই সমস্যা হয়। আমরা ক্ষতিপূরণ পাই না। এবছর পাটের জন্য বিমা করার সুযোগ পেয়েছি। তাই দেরি না করে আবেদন করেছি। এতে পাট নষ্ট হলেও আমাদের ক্ষতি হবে না।
জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুরে প্রায় ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়। তার মধ্যে প্রায় ১৩ হাজার হেক্টর জমির জন্য চাষিরা নাম নথিভুক্ত করেছেন। খরিফ মরশুমে গত ১ এপ্রিল থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ফর্ম ফিল আপ হয়। পরবর্তীতে চাহিদা বুঝে মেয়াদ ১৮ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হলে প্রায় ৪৩ হাজার চাষি আবেদন করেন। চলতি সপ্তাহে ৪৩ হাজার চাষিকে শস্য বীমায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নিজস্ব চিত্র।