চোখের সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। কর্মস্থলে অতিরিক্ত কাজের চাপ। আর্থিক দিক শুভ। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলা একসময় বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চুক্তিভিত্তিক কর্মী ছিল। যদিও সে বর্তমানে সেখানে কাজ করে না। কিন্তু সে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে চাকরি করে বলে বিভিন্ন জায়গায় নিজের পরিচয় দিত। চাকরি করে দেওয়ার নামে অনেকের কাছ থেকে টাকা নেয় সে। সেই টাকা সুদে খাটায়। এভাবেই সে প্রতারণার কারবার ফেঁদে বসেছিল। টাকা দেওয়ার দীর্ঘদিন পরেও চাকরি পায়নি কেউ। তাই অনেকে টাকা ফেরত চান। কিন্তু নানা অজুহাতে মাসের পর মাস কাটিয়ে দেয় সে। তবে, কেউ পুলিসের কাছে যাওয়ার হুমকি দিলে তাকে কিছু টাকা ফেরত দিয়ে সাময়িকভাবে চুপ করিয়ে রাখত। চাকরি দেওয়ার নামে বাঁকুড়া শহরের অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে একইভাবে প্রতারণা করেছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু কেউ অভিযোগ জানাননি। বিষ্ণুপুরের প্রতারিত মহিলা থানায় অভিযোগ জানাতেই অভিযুক্তকে জালে তুলল পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর খানেক আগে বাঁকুড়ায় এক আত্মীয়ের মাধ্যমে বেলার সঙ্গে বিষ্ণুপুর শহরের ওই মহিলার পরিচয় হয়। বেলা নিজেকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের কর্মী বলে পরিচয় দেয়। হাসপাতালের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে তার অত্যন্ত সুসম্পর্ক রয়েছে বলেও জানায়। তার কথায় বিশ্বাস করে অনেকে তাকে টাকাও দেন। বিষ্ণুপুরের ওই মহিলাকে সে গ্রুপ-ডি কর্মীর পাকা চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। তারজন্য কয়েক ধাপে ওই মহিলার কাছ থেকে বেলা মোট সাড়ে তিন লক্ষ টাকা নেয় বলে অভিযোগ। কিন্তু মাসের পর মাস কেটে গেলেও তাঁর চাকরি হয়নি। পরে টাকা ফেরত চাইলে নানা অজুহাত দেখানো হয়। এরপরই ওই মহিলা বেলার বিরুদ্ধে বিষ্ণুপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিস ঘটনার তদন্তে নেমে বাঁকুড়া থেকে বেলাকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিস জানিয়েছে, বাঁকুড়া শহরেও অনেকের কাছ থেকে সে টাকা নিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। কাদের সঙ্গে সে প্রতারণা করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।