চোখের সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। কর্মস্থলে অতিরিক্ত কাজের চাপ। আর্থিক দিক শুভ। ... বিশদ
কেন এই উদ্যোগ? ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এক আধিকারিক বলেন, এবার কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে স্নাতকস্তরে ভর্তি চলছে। সেক্ষেত্রে তথ্য জোগাড় করা সহজ। স্কুলগুলি পড়ুয়াদের কাছে জানতে চাক, তারা এই পোর্টালে আবেদন করেছে কি না। না করে থাকলে তা করার পরামর্শ দিক। যদি কোনও ছাত্র বা ছাত্রী এখনও পোর্টালের বিষয়ে অবগত না থাকেন, তাহলে তারা সেটা স্কুলের মাধ্যমেও জানতে পারবে। কোনও পড়ুয়া বাইরে থাকলে তাঁদের অভিভাবকরাও আবেদন জানাতে পারবেন। যদি আবেদন করতে কোনও সমস্যা হয়, ডেকে নিয়ে এসে তাদের রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থাও করবে স্কুল। কেউ যদি মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং, কেন্দ্রীয় কোনও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা কেন্দ্র, ভিন রাজ্যের কোনও প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হন, সেটাও জানাতে হবে। এছাড়া কারিগরী শিক্ষাদপ্তরের অধীনে যে কোর্সগুলিতে ভর্তি চলছে, সেগুলিতে যারা ভর্তি হবে, সেই তথ্যও জানাবে স্কুল।
অপর্যাপ্ত শিক্ষক থাকায় এমনিতেই স্কুলের বিভিন্ন কাজকর্ম সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন বাকিরা। তার উপরে এটা বাড়তি চাপ হবে না? সেই আধিকারিকের বক্তব্য, ডিআই এবং প্রধান শিক্ষকরা যে এটা বলেননি, তা নয়। তবে তাঁদের আমরা এটার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। তাই তাঁরা মেনে নিয়েছেন। সাত জুলাই পর্যন্ত পোর্টাল খোলা থাকছে। এই রিপোর্ট নিয়ে আমরা সেই সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করব যাঁরা এখনও কোথাও আবেদন করেননি।
প্রসঙ্গত, সারা রাজ্যের কলেজগুলিতে সাড়ে ন’লক্ষ আসন রয়েছে। আবেদনের যা গতি, তাতে সেই সমস্ত আসন পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশ ক্ষীণ বলেই মনে করছেন বিকাশ ভবনের আধিকারিকদের একাংশ। সেই কারণেও এ ধরনের উদ্যোগ আরও বেশি করে নেওয়া হচ্ছে বলে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি। রেজিস্ট্রেশনের পরও প্রোফাইল তৈরি এবং আবেদনের ক্ষেত্রে অনীহা দেখা যাচ্ছে এক শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে। সেটাও ভাবাচ্ছে বিকাশ ভবনকে। পাশাপাশি ৪৪ হাজার আসনে ডিএলএড কোর্সে আবেদনের সময়সীমা ১৩ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সেখানেও কিছু ছাত্র-ছাত্রী চলে যাবেন।