চোখের সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। কর্মস্থলে অতিরিক্ত কাজের চাপ। আর্থিক দিক শুভ। ... বিশদ
বিজয়া আসলে কেমন?
এই মায়েরা আমাদের খুব পরিচিত। আমার মা হয়তো এমন ছিলেন না। কিন্তু বন্ধুদের মায়েদের দেখেছি। মফফ্সলের আত্মীয়দের দেখেছি। ফলে এই মায়েরা আমাদের চারপাশেই রয়েছেন।
একা মায়ের চরিত্র?
হ্যাঁ। আসলে কোনও মহিলার অল্প বয়সে হয়তো স্বামী চলে গিয়েছেন, একা ছেলেকে মানুষ করেছেন— এমন মায়েদের আমি চিনি, জানি। শহুরে মানুষদের সঙ্গে শহরতলির মানুষদের চলন, কথা বলা, হাঁটায় পার্থক্য রয়েছে। আমরা দেখিয়েছি চরিত্রটি নৈহাটিতে থাকে। শহুরে মা নয়। কিন্তু মা তো। সে যখন লড়াই করতে নামে সে শহরের না গ্রামের, ইংরেজি বলতে পারে কি না, টাকা আছে কি না, কোনওটাই গুরুত্বপূর্ণ নয়। ওই একটা জায়গায় সারা পৃথিবীর মা একরকম।
এই সিরিজে র্যাগিংয়ের ঘটনা রয়েছে। র্যাগিং নিয়ে এখন অনেকেই প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন তো?
আমার অভিজ্ঞতা আলাদা। আমি দেখেছি, এখনও সকলে খুব ভোকাল নন। এই প্রোজেক্টার জন্যই আমরা চার, পাঁচজন ভিক্টিমের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। শেষ মুহূর্তে বেশিরভাগই পিছিয়ে গিয়েছিলেন। কারণ রেকর্ডেড কোনও কিছু রাখতে মানুষের আজও অনেক ভীতি রয়েছে। তাঁদের মুখ চেনা হয়ে যাবে, সেটা তাঁরা চান না। এটা সমালোচনা করার বিষয় নয়। কারণ যাঁদের সঙ্গে ঘটনাগুলো ঘটেছে, প্রতিনিয়ত যাঁরা বিষয়গুলো নিয়ে লড়ছেন, সমাজের সামনে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এগুলো নিয়ে কথা বললে, পরবর্তীতে সেই ঘটনার প্রভাব কে সামলাবে?
র্যাগিয়ের জন্য কারা দায়ী?
আমার প্রশ্ন হল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর যে অ্যান্টির্যাগিং সেল, হিউম্যান রাইটস কমিটি রয়েছে, তারা কি আসলে র্যাগিং বন্ধ করতে পারছে? র্যাগিংয়ের অভিযোগগুলো কি নথিবদ্ধ হচ্ছে? অভিযোগ নিলেও তারপর যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন, তা কি করছে? যারা র্যাগিং করছে, বিষয়টা শুধু তাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এখানে অধ্যাপকরা রয়েছেন। পুলিস, প্রশাসন রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো রয়েছে। প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন রাজনীতি ঢুকে গিয়েছে। প্রত্যেকটা বিষয়ে রাজনীতি ঢুকে যাওয়ার ফলে দায় তো কেউই নিতে চান না। র্যাগিংয়ের খবর দেখলে চিন্তা হয়? আপনি তো একজন মা?
হ্যাঁ, এটা তো চিন্তা হওয়ার মতোই বিষয়। যে মায়ের ছেলে নৈহাটি থেকে কলকাতায় এসছে পড়তে, তার যে দুশ্চিন্তা, আমার মেয়ে যখন কলকাতা থেকে মুম্বই গিয়েছিল, একই দুশ্চিন্তা ছিল। এই দুশ্চিন্তার কোনও ভাগাভাগি হয় না।
গভীর কোনও চরিত্রের প্রভাব কাজ শেষের পরেও নিজের ভিতর থেকে যায়?
আমার মনে তো থেকেই যায়। কিন্তু পরের কোনও চরিত্রে তার প্রভাব পড়ে না। বিজয়া চরিত্রটা এত অসহায়, দুর্বল। কিন্তু নির্ভীক। অসহায়তার সঙ্গে আমরা ভয়কে যুক্ত করে দিই। একজন মা যখন এই লড়াইতে নেমে পড়েছে, তার কিন্তু আর কোনও ভয় নেই। সে হয়তো অনেক বোকামো করবে। অপমানিত হবে। ভুল সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু ভয় তার নেই। এটা কি ব্যক্তিগত দিক থেকে আমাকে কোনওভাবে প্রভাবিত করবে না? নিশ্চয়ই করবে।
পাবলিক ফিগার হিসেবে অ্যান্টি র্যাগিং কর্মসূচীতে আপনার পদক্ষেপ কী হতে পারে?
আমার প্রতিবাদ করার জায়গাটা কাজ। আমি যখন থাকব না, তখনও এই কাজটা থাকবে। আমি মনে করি না সব প্রতিবাদ ফেসবুকে করতে হবে অথবা সেটা করা সম্ভব।
পুজোয় আসছে ‘টেক্কা’। সেখানে দেবের সঙ্গে আপনার প্রথম কাজের অভিজ্ঞতা কেমন হল?
দেব খুবই নিয়মানুবর্তী। হিরোদের তো সঠিক সময়ে শ্যুটিংয়ে না পৌঁছনোর বদনাম রয়েছে। ও কিন্তু সময়ে পৌঁছয়। আর চরিত্র হয়ে পৌঁছয়। ‘দেব’ হয়ে সেটে পৌঁছয় না। অভিনয়ের আমি যেটুকু বুঝি, তাতে মনে হয় ‘টেক্কা’ দেবের সর্বশ্রেষ্ঠ কাজ।