হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
মুরলীকান্ত পেটকরের জীবনকাহিনিকে খুব সাবলীলভাবে বড় পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক কবীর খান। ‘চকোলেট হিরো’র তকমা ঘুচিয়ে অভিনয় কেরিয়ারে নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করলেন পর্দার ‘মুরলী’ অর্থাৎ নায়ক কার্তিক আরিয়ান। এই ছবির জন্য তাঁর ‘বডি ট্রান্সফর্ম’ দেখলে অবাক হতে হয়। ৯০ থেকে ৭২ কেজিতে ওজন কমিয়ে এনেছেন নায়ক। বডি ফ্যাট কমিয়েছেন ৩৯ থেকে ৭ শতাংশে। সিনেমায় বক্সিংয়ের দৃশ্যগুলি অসাধারণ। অবশ্য আবেগঘন মুহূর্তে কার্তিকের অভিনয়ে অল্প হলেও আড়ষ্ঠতা চোখ এড়ায়নি।
‘চন্দু চ্যাম্পিয়ন’ শুরুতে কিছুটা হলেও রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরার ‘ভাগ মিলখা ভাগ’-এর কথা মনে করিয়েছে। আসলে দুই অ্যাথলিটের কাহিনিতেও সাদৃশ্য রয়েছে। তবে ‘বজরঙ্গি ভাইজান’, ‘৮৩’ খ্যাত পরিচালকের স্টোরি টেলিং নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ নেই। পাশাপাশি চরিত্র নিয়ে তাঁর খুটিনাটি গবেষণাও পর্দায় ফুটে উঠেছে। শিল্পী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও মুন্সিয়ানার কমতি নেই। কবীর খান বরাবরই চরিত্র নিয়ে খেলতে পছন্দ করেন। এখানেও অন্যথা হয়নি। সাপোর্টিং অভিনেতা হিসেবে বিশেষভাবে নজর কেড়েছেন বিজয় রাজ। মুরলীর কোচের ‘কমিক টাইমিং’ নিশ্চিতভাবে দর্শক উপভোগ করবেন। অল্প স্ক্রিন টাইমেও দাগ কেটেছেন রাজপাল যাদব, ভুবন আরোরাও। দৃশ্যের সঙ্গে গানের ব্যবহারও বেশ ভালো। ‘সত্যানাস’ গানে ট্রেনের উপর কার্তিকের নাচ তো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। হাসি ঠাট্টার সঙ্গে আবেগঘন মুহূর্তগুলোও দর্শকদের কাঁদিয়ে ছাড়বে। ক্লাইম্যাক্সে সিনেমা হলে হাততালি পড়লে অবাক হওয়ার কিছু নেই। সবমিলিয়ে ‘চন্দু চ্যাম্পিয়ন’ কমপ্লিট প্যাকেজ।